নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০-এর কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ করছে সরকার, এমনই জানানো হয়েছে। এদিকে করোনা রুখতে বৃন্দাবন ইস্কন মন্দিরে তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভারতের বাইরের ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও একান্তই আসতে গেলে ভক্তদের দেখাতে হবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট।
৪ মার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ২৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ইতালির বাসিন্দা রয়েছেন ১৬ জন। ইতালীয় পর্যটকদের ওই ১৬ জনকে অন্যত্র রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বিশেষ সতর্কতা জারি ছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিমানবন্দরে। স্ক্রিনিং ছাড়া ভারতে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। এদিকে ৫ মার্চ মথুরার বৃন্দাবন ইস্কন মন্দিরের পক্ষে সৌরভ দাস ভারতের বাইরের ভক্তদের মন্দিরে না আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই নিয়ম আগামী তিনমাসের জন্য লাগু থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Saurabh Das, PRO of Vrindavan Iskcon Temple in Mathura: Due to #Coronavirus, we've requested foreign devotees not to visit the temple for the next two months. If they want to visit the temple, they will have to produce the medical certificate to prove that they are not infected. pic.twitter.com/Lcsx0nolPp
— ANI UP (@ANINewsUP) March 5, 2020
তবুও যদি তাঁরা মন্দিরে যেতে চান, তাহলে তাঁরা যে ভাইরাস আক্রান্ত নন, তার প্রমাণস্বরূপ তাঁদের প্রত্যেককে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। দেশের সুরক্ষার স্বার্থে নেওয়া এই সিদ্ধান্তে বৃন্দাবন ইস্কন মন্দিরের প্রতি কিছু মানুষ শ্রদ্ধা জানালেও সৌরভ দাসের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন কেউ কেউ। অতুল আগরওয়াল নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'তার মানে ভগবানও বাঁচাতে পারবেন না?'
বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের। সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিটি দেশ। ভারতেও ঢুকেছে করোনা ভাইরাস। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বস্ত করেছেন এই বিষয়ে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।