মুম্বই: সদ্যোজাত শিশুকে ফেলে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সামাজিক স্বীকৃতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আবার কখনও লিঙ্গবৈষম্যের জেরে নিষ্পাপ শিশু 'পরিত্যক্ত' পরিচয় পায়। উপযুক্ত শিক্ষার অভাবকেও এর নেপথ্যের কারণ হিসেবে তুলে ধরেন কেউ কেউ। মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলায় এক পড়ুয়া হস্টেলের শৌচাগারেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি শৌচাগারের একটি বালতিতেই ফেলে রেখে যান সেই সদ্যোজাতকে। সূত্রের খবর, ওই তরুণী একজন স্কুল ছাত্রী।
সংবাদসূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার অন্তর্গত সাকরি শহরের একটি হস্টেলে থাকতেন ১৮ বছরের তরুণী সাবিত্রীবাই ফুলে। ২৯ ফেব্রুয়ারি হস্টেলের শৌচাগারেই তিনি জন্ম দেন সন্তানের। পুলিশসূত্রের খবর, একটি বালতির মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল শিশুটিকে। শৌচাগার থেকে কান্নার শব্দ পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তারপর হস্টেল কর্তৃপক্ষ পুলিশের শরণাপন্ন হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে ওই তরুণীকে শনাক্ত করতে পারেনি। কোনও পড়ুয়াই ওই শিশুর দায়িত্ব নিতে চাননি। ফলে পুলিশের সন্দেহ হয়। স্থানীয় থানার পুলিশ ইনস্পেক্টর দেবীদাস দামনে বলেন, 'এই পরিস্থিতিতে সন্দেহ দানা বাঁধে এক ছাত্রীকে ঘিরে। পরে ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে শিশুটি ওই তরুণীরই।' যদিও পুলিশের তৎপরতায় ওই তরুণী এবং তাঁর সন্তানকে মহারাষ্ট্রেরই একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কেন তিনি এই কাজ করেছেন, সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত করছে।
ওয়ার্ডেন এবং অন্যান্য কোনও পড়ুয়াদের অজান্তেই হস্টেলের মধ্যে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। সামাজিক স্বীকৃতির ভয় থেকেই এই কাজ করেছেন ওই তরুণী, এমনই মনে করছেন তাঁরা।