লখনউ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভের ছবি দেখা গেছে বিভিন্ন রাজ্যে। কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল এই বিক্ষোভ। কড়া হাতে তা দমনেও সচেষ্ট ছিল সরকার। আটক করা হয়েছিল বহু বিক্ষোভকারীকে। এবার যোগীর রাজ্যে দেখা গেল অন্য ছবি। লখনউয়ের রাস্তায় বড় বড় হোর্ডিংয়ে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের ছবি ও নামসহ তাঁদের ঠিকানাও। কিন্তু কী কারণে এই হোর্ডিং, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের। এবার লখনউয়ের রাস্তার হোর্ডিংয়ে দেখা গেল তাঁদেরই ছবি। তাঁদের হিংসাত্মক কার্যকলাপের ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বহু সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে। প্রাণনাশের ঘটনাও ঘটেছে। হোর্ডিংয়ে সেই কথা উল্লেখ করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে। যদি অবিলম্বে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিরা খেসারত না দেন, তাহলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই নিয়েই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সিএএ বিরোধিতায় হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কথা সরকারের তরফেই জানানো হয়েছিল।
এরপরও প্রকাশ্যে এভাবে বিজ্ঞপ্তি জারির কারণ কী, তা বুঝছেন না জনসাধারণের একাংশ। হোর্ডিংয়ে দেখা গেছে রাজনীতিবিদ সদফ জাফর, আইনজীবী মহম্মদ শোয়েব, থিয়েটার কর্মী অভিনেতা দীপক কবীর, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এসআর দরপুরির নাম ও ছবি। তাঁদের প্রত্যেকেই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নাম, ছবি, ঠিকানা এভাবে প্রকাশ্য হোর্ডিংয়ে দেওয়া নিয়ে আঙুল তুলেছেন তাঁরা। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
সিএএ বিরোধিতায় সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে এর আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগ আদিত্যনাথ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, 'আমরা কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমিও নজর রাখছি পুরো ঘটনায়। হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে তাঁদের।'