নির্ভয়া: ফাঁসি থেকে বাঁচার পথ এখনও খোলা, বিস্ফোরক আইনজীবী

নির্ভয়া: ফাঁসি থেকে বাঁচার পথ এখনও খোলা, বিস্ফোরক আইনজীবী

226a732d55c6b973455a2715837ab37d

নয়াদিল্লি: বিগত দু’মাস ধরে ফাঁসির হাত থেকে বাঁচতে প্রাণপনে চেষ্টা করে গিয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষী। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট পবন গুপ্তা, অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২০ তারিখ ভোর ৫:৩০ টার সময় তাঁদের ফাঁসি হওয়ার কথা রয়েছে। কোর্টের বক্তব্য, দোষীরা সব আইনি বিকল্প ইতিমধ্যে নিয়ে নিয়েছে। ফলে সেদিন ফাঁসি তাঁদের হবে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ দোষীদের আইনজীবী এপি সিং। তাঁর দাবি, দোষীদের কাছে এখনও বিকল্প পথ খোলা রয়েছে।

তাঁর বক্তব্য, অক্ষয়ের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে। প্রথম আর্জিতে কিছু ত্রুটি ছিল, কিন্তু এখন যেটা পাঠানো হয়েছে তাতে কোনও ত্রুটি নেই। দীর্ঘ টালমাটালের পর দিল্লির একটি আদালত গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জানায় আগামী ৩ মার্চ সকাল ৬টায় কার্যকর হবে এই ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড। ফাঁসি হওয়া থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আবেদন জানিয়েছিল পবন কুমার গুপ্তা। কিন্তু, সোমবার পবনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাছাড়া দিল্লি নিম্ন আদালত ফাঁসির দিন পিছনোর আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে। এরপর রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয় পবন। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রায় শোনানোর পরেই চত্বরের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দোষীদের আইনজীবী এপি সিং। তিনি বলেন, “নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীরা জঙ্গি নয়। ইতিমধ্যেই ওদের চারবার মেরে ফেলা হয়েছে।“ পাশাপাশি ওই আইনজীবী এও বলেছেন যে মিডিয়ার চাপে দোষীরা আদতে মরতেই বসেছে।

এই নিয়ে চারবার নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে দিল্লির আদালত। বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়েছে চতুর্থ ডেট। আগামী ২০ মার্চ তিহাড় জেলে ভোর সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের চার দোষী অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা এবং পবন গুপ্তর। ২০১২ সালে রাতের রাজধানীর রাস্তায় প্যারামেডিক্যালের এক ছাত্রীর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় মোট ৬ জন। তাদের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় নিয়ম অনুসারে তিন বছর জেল খাটার পরেই ছাড়া পায় সে। আর এক দোষী রাম সিংয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় জেলখানার ভিতরেই। বাকি ছিল এই চারজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *