তিরুবন্তপুরম: পর পর দু’বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত হয়েছে ভারতের দক্ষিণতম রাজ্য কেরল। বন্যায় ভেসে গেছে কেরলের নদ-নদী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কেরলের মানুষজন, পশুপাখি, সকলের জীবন বিপন্ন হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি, পথঘাট, রেল পথ, আরও কত কী। কিন্তু এত কিছুর পরেও দেশের তথা বিদেশীদের কাছে কেরলের নৈসর্গিক আকর্ষণে এতোটুকুও ভাটা পরেনি বরং তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রকৃতি-প্রেমীদের মতে বর্ষাকালই কেরল ভ্রমণের পক্ষে আদর্শ সময়। মাত্র দু’বছর আগে নিপা ভাইরাসের মরণ কামড়ে ঐ রাজ্যের প্রায় ১৯ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি চলতি বছরের শুরুর দিকে কেরল রাজ্য থেকেই প্রথম জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। এতো কিছুর পরেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান থেকে জানতে পারা যাচ্ছে যে ২০১৯ সালে দেশী এবং বিদেশী পর্যটক নির্বিশেষে কেরলে আগত পর্যটকদের সংখ্যা ছিল প্রায় দু’কোটির কাছাকাছি। যা বিগত ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক।
এই পর্যটকদের মধ্যে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে দেশীয় পর্যটকদের সমাগম হয়েছিলো আর ঐ বছরের বাকি সময়ে বিদেশী পর্যটকদের। ২০১৯ সালের পর্যটক সমাগমের সংখ্যা ছিল ২০১৮ সালের প্রায় দ্বিগুণ। ঐ রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী কদমাকাপল্লী সুরেন্দারান এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানিয়ে বলেছেন বিগত কয়েক বছরের একাধিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে কেরলের পর্যটন শিল্প পুনরায় স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। চলতি বছরে কেরলে আগত পর্যটকদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশাবাদী।