ভুবনেশ্বর: ইয়ের ব্যাঙ্কের বিপর্যয়ে মাথায় হাত পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে৷ জগন্নাথদেবের নামে ইয়েস ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে ৫৪৫ কোটি টাকা৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মেনে আপাতত সেই টাকা তুলতে পারবে না মন্দির কর্তপক্ষ৷ কিন্তু এই বিপুল অঙ্কের টাকা সুরক্ষিত থাকবে তো? চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতদের কপালে৷ যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভয়ের কিছু নেই৷ সুরক্ষিত থাকবে এই টাকা৷
ব্যাঙ্কের আর্থিক সঙ্কটের খবর ছড়াতেই হইচই শুরু হয়ে যায় জগন্নাথধামে৷ ভক্তদের প্রণামী আর দানে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা জমা হয় জগন্নাথ মন্দিরে। ঠাকুরের নামে বহু জায়গায় জমিও রয়েছে। তার ওপর কোথাও চলছে দোকান আবার কোথাও খননকার্য। এই টাকাও জমা হচ্ছে জগন্নাথদেবের তহবিলে। কিন্তু ইয়েস ব্যাঙ্কে জমা থাকা ৫৪৫ কোটি টাকা কীভাবে উদ্ধার করা যায় বুঝে উঠতে পারছে না মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলেও, একেবারে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না পুরীধাম৷ মোট টাকার অঙ্কটা নেহাত নয়৷ ৫৯২ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে ৫৪৫ টাকা ফিক্সড জিপোজিট রয়েছে৷ ৪৭ কোটি টাকা রয়েছে ফ্লেক্লি অ্যাকাউন্টে৷ এই টাকার ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মন্দিরের বিপুল পরিমাণ অর্থ একটা বেসরকারি ব্যাঙ্কে রাখা হল কেন? ওড়িশার আইন মন্ত্রী প্রতাপ জেনা জানিয়েছে, ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা ম্যাচিওর হওয়ার কথা ১৬ ও ২৯ মার্চ। এই টাকা ম্যাচিওর হওয়ার পর কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তা রাখা হবে। রাজ্যের মন্ত্রী ওড়িশা বিধানসভায় জানিয়েছেন, মন্দিরের ৬২৬.৪৪ কোটি টাকার মধ্যে ৫৯২ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্কে। পরে ৪৭ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়।