তিরুবনন্তপুরম: কেরলের দু’টো চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রের তথ্য মন্ত্রক দপ্তর। কিন্তু বিরোধী ও দু’টি মালায়লম চ্যানেলের প্রবল চাপে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, গাইড লাইন না মেনে ওই কেরলের ওই দুটি টেলিভিশন সংস্থা দিল্লি হিংসার খবর প্রচার করেছিল। ওই খবরগুলো ছিল একপেশে।
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট খবর করার জন্যই ওই দু’টি সংবাদ চ্যানেলকে ব্যান করেছিল কেন্দ্র। কেবল টেলিভিশন অ্যাক্ট ১৯৯৪-এর ৬ (১সি) এবং ৬ (১ই) অনুযায়ী ৪৮ ঘন্টার জন্য ওই দু’টি সংবাদ চ্যানেলকে নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। ওই আইন অনুযায়ী, কোনও ধর্মীয় স্থানে হামলা বা হিংসাত্বক কার্যকলাপে বা বিদ্বেষ মূলক উসকানি দিতে পারে এমন কোনও খবর সম্প্রচার করতে পারে না। কেন্দ্রের অভিযোগ, এই ২টি চ্যানেলই সেই গাইডলাইন মানেনি।
‘এশিয়ানেট নিউজ’ ও ‘মিডিয়াওয়ান টিভি’কে ৪৮ ঘণ্টা সম্প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশ আসার পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে দু’টি চ্যানের কর্তৃপক্ষরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। ‘মিডিয়াওয়ান টিভি’ আদালতে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয়। কেরলের শাসক এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ একযোগে আক্রামণ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে একপ্রকার পিছিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য সম্প্রচারের মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, ‘এশিয়ানেট নিউজের ওপর রাত দেড়টা নাগাদ ও মিডিয়া ওয়ান টিভির ওপর শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।’ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল শুক্রবার সন্ধে সাতটা ৩০ মিনিট থেকে। অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার আগেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল।