আমি গর্বিত আমার মেয়ের জন্য, আবেগে ভাঙলেন কল্পনা চাওলার বাবা

আমি গর্বিত আমার মেয়ের জন্য, আবেগে ভাঙলেন কল্পনা চাওলার বাবা

0c12208cd0dbccb7257c6488649acb52

নয়াদিল্লি:  নারী দিবসে একের পর এক শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে উঠছে ৷ মহিয়ষী মহিলাদের গল্প বলছেন অনেকে৷ কীভাবে তাঁরা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন৷ এই পরিস্থিতি কল্পনা চাওলার বাবা দেশের উদ্দেশে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, প্রতিটি কন্যা সন্তানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে৷ যাতে তারা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে৷ সমাজে উজ্জল নক্ষত্র হয়ে জ্বলতে পারেন৷ ঠিক যেমন আমার মেয়ে কল্পনা চাওলা হয়েছেন৷

২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মহাকাশ দুর্ঘনায় অন্য ছয় সহযাত্রীর সঙ্গে কল্পনা চাওলার মৃত্যু হয়৷ সেই সময় কল্পনা চাওলার বয়স ছিল মাত্র ৪০ বছর৷   তার ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন রাত আটটার সময় কল্পনা চাওলার অনুপ্রেরণায় ভরা জার্নি নিয়ে একটা তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে৷ কল্পনা চাওলা ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বহু মেয়ের কাছে রোল মোডেল৷ এদিন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে কল্পনা চাওলার পুরনো একটা ভিডিও প্রকাশ করা হয়৷ সেই ভিডিওটিতে তিনি বলেছেন, মহাকাশ যানে যাওয়া আমার কাছে স্বপ্নের থেকে অনেক বেশি ছিল৷ আমার ইঞ্জিনিয়ারিং জীবনের সময়ও আমি ভাবতে আমার ভাগ্য আমাকে এখানে নিয়ে আসতে পারে৷ আমার মনে হয়, আমি খুব ভাগ্যবান যে, আমি যে শহরে থাকতাম, সেখানে ফ্লায়িং ক্লাব ছিল৷ আমি ছোট ছোট বিমানগুলোকে  আকাশে উড়তে দেখেছি৷ সেই সময় আমি বাবাকে বলতাম, ওই বিমানে উঠতে চাই৷

সমস্ত নিয়ম ভুলে পঞ্জাবের বৈমানিক ইঞ্জানিয়ারিং কলেজে কল্পনা চাওলা ভর্তি হন৷  সেই সময় সেখানে মেয়েদের কোনও আবাসিক পর্যন্ত ছিল না৷ পঞ্জাব থেকে ডিগ্রি পাওয়ার পর  তিনি টেক্সাসে গিয়ে এই বিষয়ে মাস্টার্স করেন৷ এরপর তিনি আমেরিকা থেকে পিএইচডি করেন৷ সেই সময় থেকেই তিনি নাসায় কাজ শুরু করেন৷ সেই সময়ই তিনি নিজের লক্ষ্য খুঁজে পান৷  নয়ের দশকের শুরুর সময়ই তিনি নাসাতে কাজ করার জন্য আবেদন করেছিলেন৷

কল্পনা চাওলার বাবা বারাণসী লাল চাওলা বলেন,  ‘কল্পনার স্বপ্ন ছিল, পৃথিবীর কেউ যেন শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিতে না পারে৷ বিজ্ঞানের মাহাত্ম্য থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়৷ তিনি সব সময় সকলে এই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতেন৷ কেউ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ভারত থেকেল এখানে আসতে পেরে, মহাকাশ নিয়ে কাজ করতে পেরে আপনার কেমন লাগছে৷ কল্পনা বলেছিল, পৃথিবীর এক কোনে আমি জন্মেছি৷ সমস্ত পৃথিবী আমার দেশ৷ এই পৃথিবীতে যাঁরা যাঁরা বাস করেন, সবাই আমার প্রতিবেশী৷  কল্পনা তাঁর জীবন দিয়ে এটা বুঝিয়েছে৷’ তিনি বলেন, কল্পনার জীবনে এমন অনেক উদাহরণ আছে, যেটা দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন, সব সময় মনুষ্যত্বকে গুরুত্ব দিতেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *