তিরুবনন্তপুরম: ভারতে কেরলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনায় ভারত কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। কেরলে ইতিমধ্যে ১২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একটি তিন বছরের শিশুও রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে শবরীমালা দর্শণ এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন ত্রাণ কোভার দেবশ্বম বোর্ড। তিনি জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যতদিন না কমছে, শবরীমালা দর্শণ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এছাড়াও জমায়েত ও অনুষ্ঠান বাতিল করার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশেও বেড়েছে এই রোগে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
জম্মুতে বৃদ্ধার রিপোর্ট পজিটিভ আসার ফলে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রেও ছড়াল করোনা আতঙ্ক। এই প্রথম দেশের কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ইতালি গিয়েছিলেন ওই মহিলা। কেরলের ৩ বছরের শিশুর আক্রান্তে চমকে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। রবিবার তাঁর দেহে করোনা ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে। এর আগে এত ছোট বয়সে আক্রান্ত হওয়ার খবর ভারত থেকে সামনে আসেনি।
অন্যদিকে কর্ণাটকে যে সফটইঞ্জিনিয়ার আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি কিছুদিন আগেই আমেরিকা থেকে ফিরেছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি গিয়েছিলেন অস্ট্রিন, টেক্সাস, দুবাই, নিউ-ইয়র্কেও।
দিল্লিতে করোনায় চতুর্থ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। ওই রোগীর সম্প্রতি বিদেশে যাওয়ার কোনও ইতিহাস নেই। তবে কীভাবে ওই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন জানা যায়নি। তবে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে ৭৬ জন এসেছিলেন। তাঁদের ঘরের মধ্যেই কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিলেন দিল্ল্র স্বাস্থ্য দপ্তর।
দিল্লির স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত চতুর্থ ব্যক্তি একটি জনসমাগমে পেটিএমের এক কর্মীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। ওই কর্মী সেই সময় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। সেখান থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে দিল্লির স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আর ৭৬ জন এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁদের শরীরে করোনায় আক্রান্ত প্রাথমিক উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে তাঁদের ঘরেই কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।