৭ মাস পর পিতা-পুত্রের মিলন, ছেলে ওমরকে দেখে আবেগ ভাঙলেন ফারুক!

৭ মাস পর পিতা-পুত্রের মিলন, ছেলে ওমরকে দেখে আবেগ ভাঙলেন ফারুক!

নয়াদিল্লি: সাত মাস পর অপেক্ষার অবসান। মিলন হল পিতা-পুত্রের। শুক্রবারই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। আর শনিবারই তিনি দেখালেন ছেলে ওমর আব্দুল্লার সঙ্গে। যদিও ওমর আবদুল্লা এখনও মুক্তি পাননি। কবে তিনি মুক্তি পাবেন, সেই বিষয়েও কোনও ঘোষণা করা হয়নি।

শুক্রবার বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ফারুক আবদুল্লা ছেলের সঙ্গে দেখা করার আবেদন করেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের কাছে। শনিবার তাঁকে তার বাড়ি থেকে শ্রীনগরের জেলের কাছে থাকা হরি নিবাসে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেই বন্দি করে রাখা হয়েছে ওমর আবদুল্লাকে। এতদিন পর ছেলেকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান ফারুখ। জড়িয়ে ধরেন ছেলে ওমর আবদুল্লাকে। এদিন ছেলে ওমরের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে সকালে প্রথমে ডাল লেকের কাছে বাবা শেখ আবদুল্লার কবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে যান ফারুক আবদুল্লা। তার বাবাও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কালো কুর্তা, কারাকুলি টুপিতে সজ্জিত হয়ে প্রথা মেনে স্ত্রী মইলি ও নাতি আদিমের সঙ্গে বাবাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।

গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পরই ফারুক আবদুল্লাকে বন্দি করা হয়। তখন থেকে তিনি ব‌ন্দিদশায় দিন কাটাচ্ছিলেন। আগস্টের ১৭ তারিখে ফারুক আবদুল্লার ওপর জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে কেন্দ্র। এই আইনের জেরে কোনও ব্যক্তিকে বিনা বিচারে সর্বাধিক দুই বছর বন্দি করে রাখা যেতে পারে। ফারুক আবদুল্লার মুক্তির দাবিতে বিরোধীরা স্বোচ্চার হয়েছিলেন। বার বার বিরোধীরা তাঁর মুক্তির দাবি করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কর্ণপাত করেনি। ছাড়া হয়নি ফারুক আবদুল্লাকে। বরং, ডিসেম্বরে তাঁর বন্দিদশা আরও তিন মাসের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া। সম্প্রতি আটটি বিরোধী দল অবিলম্বে ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দিতে হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। ফারুক আবদুল্লার পাশাপাশি ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিরও মুক্তির আবেদন করেছিলেন বিরোধীদের নেতারা। ফারুক আবদুল্লার মুক্তি হলেও ওমর আবদুল্লার ও মেহবুবা মুফতিকে কবে মুক্তি দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, তিন বার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ফারুক আবদুল্লা। নেশন্যাল কনফারেন্সের থেকে পাঁচ বার তিনি সাংসদও হয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =