করোনা রুখতে পুজো, যজ্ঞ, গোমূত্র পার্টি! দেশের মঙ্গলে হিন্দু মহাসভা

করোনা রুখতে পুজো, যজ্ঞ, গোমূত্র পার্টি! দেশের মঙ্গলে হিন্দু মহাসভা

নয়াদিল্লি: করোনার গুঁতোয় দিশেহারা বিশ্ব৷ প্রতিষেধকের খোঁজে আদা-জল খেয়ে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু সকলকে পিছনে ফেলে মহৌষধি আবিষ্কার করে ফেলল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা৷ জানাল, করোনা থেকে বাঁচাবে গোমূত্র এবং গোবর৷

শুক্রবারই ‘গোমূত্র পার্টি’র বিজ্ঞাপন ভাইরাল হয় নেট পাড়ায়৷ শনিবার দিল্লির মন্দির বাগে দলের সদর কার্যালয়ে ‘টি পার্টি’র অনুকরণে ‘গোমূত্র পার্টি’র আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয় সংস্থার তরফে৷ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতেই এই পার্টির আয়োজন৷ শনিবার ‘গোমূত্র’ পার্টি শুরু হতেই এর ছবি এবং ভিডিও ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ যেখানে অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি হিন্দু মহাসভা প্রধান চক্রপানি মহারাজকে গোমূত্র পান করতে দেখা যায়৷ পার্টিতে বাড়তি পাওনা ছিল পঞ্চগোভ্য৷ হিন্দু রীতি অনুযায়ী, গোবর, গোমূত্র, গরুর দুধ, দই এবং ঘি দিয়ে তৈরি করা হয় এই পঞ্চগোভ্য৷

এই পার্টিতে অতিথির সংখ্যা নেহাত কম ছিল না৷ প্রায় ২০০ জন অংশ নেন গোমূত্র পার্টিতে৷ এদিন চক্রপানি মহারাজকে করোনা ভাইরাসের একটি ব্যাঙ্গচিত্রের পাশে গোমূত্র হাতে পোজ দিতেও দেখা য়ায়৷ পার্টির মেজেজে গা ভাসিয়েই চক্রপানি মহারাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘গোবর-গোমূত্র এবং গরুর থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য সামগ্রী কী ভাবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করবে, সে সম্পর্কে মানুষের সচেতনতার প্রয়োজন আছে৷ যেমন আমরা চা-চক্রের আয়োজন করি, তেমনই গোমূত্র পার্টির আয়োজন করেছি।’’ গো-জাত দ্রব্য ব্যবহার করলে অবিলম্বে করোনা ভাইরাসের মৃত্যু হবে বলেও দাবি তাঁর৷ দিল্লির পাশাপাশি হিন্দু মহাসভা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘গোমূত্র’ পার্টি করার কথা ভাবছে বলেও জানান মহারাজ৷  তাঁদের এই অভিযানে যাঁরা সমঝোতা করতে চান বা এক সঙ্গে মিলে কাজ করতে চান, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷

সারা দেশের বিজ্ঞানীরা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে , এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও দাওয়াই তৈরি হয়নি৷  একমাত্র সাবধানতা বা সতর্কতা ছাড়া করোনা মোকাবিলার আর কোনও উপায় নেই৷  সেখানে গোমূত্র-গোবরের এমন ‘পথ্য’ যে অনেকেই বিশ্বাস করবেন না, তা বিলক্ষণ জানেন মহারাজ নিজেও। তাই তাঁর বক্তব্য, ‘‘জীব হত্যা মহাপাপ, এই বার্তা আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই। করোনা ভাইরাস যে জীব হত্যার কারণেই ছড়িয়েছে, সেটা প্রচার করতে চাই। আমার কথা বিশ্বাস করুন বা না করুন, ভারতে যে হেতু অধিকাংশ মানুষই নিরামিষাশী, তাই এখানে এই ভাইরাস ছড়াবে না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + sixteen =