নয়াদিল্লি: দেশীয় পোশাক পরার দায়ে এবার স্কুল শিক্ষিকাকে রেস্তরাঁয় ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ দিল্লির একটি রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের৷
জানা গিয়েছে, গত ১০ মার্চ হোলি উপলক্ষ্যে দক্ষিণ দিল্লির একটি নামী রেস্তরাঁয় যান গুরুগ্রামের একটি স্কুলের শিক্ষিকা সঙ্গীতা নাগ৷ অভিযোগ, রেস্তরাঁয় ঢোকার মুখে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়৷ জানানো হয়, তাঁর পরে থাকা দেশীয় পোশাক স্মার্ট ক্যাজুয়াল নয়৷ ফলে, তিনি রেস্তরাঁয় ঢুকতে পারবেন না৷ রেস্তরাঁয় ঢুকতে বাধা পেয়ে গোটা ঘটনার বিবরণ-সহ টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই বাঙালি শিক্ষিকা৷
টুইটারে ভিডিও প্রকাশ করে তিনি লিখেন, দেশীয় পোশাক পরার অপরাধে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়৷ রেস্তরাঁর কর্মীরা তাঁকে জানান, তাঁর পোশাক এথনিক৷ ওই পোশাক পরে রেস্তরাঁয় ঢোকা যাবে না৷ তাঁর প্রশ্ন, ভারতীয় রেস্তরাঁয় কেন ভারতীয় পোশাক নিয়ে এই ধরনের মনোভাব? ভারতীয় পোশাক কী তাহলে স্মার্ট ক্যাজুয়াল পোশাক নয়? এই টুইটের পর বাঙালি শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়৷ তিনি টুইট করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ট্যাগ করে গোটা ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার সহ রেস্তরাঁর লাইসেন্স বাতিলেরও দাবি জানান৷