লখনউ: সারা দেশ জুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বন্ধ স্কুল-কলেজ। স্কুল, কলেজের পরীক্ষাতেও স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। অথচ অযোধ্যার রামনবমী মেলা নির্ধারিত দিনেই অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা যোগী সরকারের। করোনা ভাইরাসের সতর্কতায় যখন সারা বিশ্ব সতর্কতা অবলম্বন করছে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সমালোচনা তীব্র আকার নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের তালিকায় যে ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে সংখ্যার নিরিখে উত্তরপ্রদেশ রয়েছে তিন নম্বরে। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ জন। মঙ্গলবারই রাজ্যের স্কুল-কলেজ, শপিং মল, সুইমিং পুল, সিনেমা হল বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। অথচ রামনবমী মেলার ক্ষেত্রে নেই কোনও নিষেধাজ্ঞা! প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম মহোৎসব অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। অযোধ্যার জেলাশাসক অনুজ কুমার ঝা বলেন, 'আমরা এই মেলার জন্য সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করছি। সমস্ত মন্দিরের সাফাইয়ের কাজ হবে। গ্রামজুড়ে পোস্টার লাগানো হবে, যেখানে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে সচেতনতার কথা বলা থাকবে।' এমনকী, মেলার প্রথম দিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সংবাদসূত্রে জানা গেছে।
বুধবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশ ১ জন, দিল্লিতে ৯ জন, হরিয়ানায় ২ জন, কর্নাটকে ১১ জন, কেরলে ২৫ জন, মহারাষ্ট্রে ৩৮ জন, উড়িষ্যায় ১ জন, পাঞ্জাবে ১ জন, রাজস্থানে ২ জন, তামিলনাড়ুতে ১ জন, তেলঙ্গানায় ৩ জন, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩ জন, লাদাখে ৮ জন, উত্তরপ্রদেশে ১৫ জন, উত্তরাখণ্ডে ১ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১ জন করোনায় আক্রান্ত। সব মিলিয়ে বুধবার সকালের প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে ১২২ জন আক্রান্তের পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। এছাড়াও বিদেশি রয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে হরিয়ানায় ১৪ জন, কেরলে ২ জন, মহারাষ্ট্রে ৩ জন, রাজস্থানে ২ জন, তেলঙ্গানায় ২ জন ও উত্তরপ্রদেশের ১ জনের নাম উঠে এসেছে।