নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস ঠেকাতে একের পর এক সতর্কতা জারি করছে কেন্দ্র। প্রতিটি রাজ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনামা। মঙ্গলবার সংসদে দলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা রুখতে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানেই বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যে অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। করোনা মোকাবিলায় যাঁদের ওপর বিশেষ দায়িত্ব থাকবে।
গোটা বিশ্ব করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে একের পর এক সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সাংসদদের উদ্দেশ্যেও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশও দিয়েছেন সাংসদদের। এছাড়া কেন্দ্র সরকার ৩০ জন অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিটি রাজ্যে। যাঁরা করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন। মূলত রাজ্য সরকারের সহায়তার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের। গতকাল সেই বিষয়ে আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকও হওয়ার কথা ছিল। এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে লভ আগরওয়াল জানিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে ১৩০ জনেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই তালিকায় করোনা থেকে ১৪ জন পুরোপুরি সুস্থ এবং মৃত ৩ জনের নামও রয়েছে। এছাড়াও সরকার এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে করোনা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি আগেই হয়েছিল। দু'জন ব্যক্তির মধ্যে দূরত্বও বেঁধে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০-এর বেশি। শেষ চারটি খবর পাওয়া গেছে উড়িষ্যা, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ ও কেরল থেকে। সংক্রমণ রুখতে স্কুল-কলেজ বন্ধের পাশাপাশি, সুইমিং পুল, শপিং মল বন্ধের কথাও এদিন শোনা গেছে তাঁর মুখে। করোনা মোকাবিলায় সার্ক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার উদ্যোগ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে দামু রবি জানিয়েছিলেন।