নয়াদিল্লি: ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। দেশে চতুর্থ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল করোনার জেরে। দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পর এবার পাঞ্জাবের ৭২ বছরের এক প্রৌঢ়ের। গত সপ্তাহেই তিনি জার্মানি থেকে ফিরেছিলেন বলেই সংবাদসূত্রে জানা গেছে।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্বে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর তরফে (পিজিআইএমইআর) জগৎ রাম জানিয়েছেন, ৭২ বছরের ওই প্রোঢ়ের নমুনায় করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের উপসর্গ ছিল বলেও জানানো হয়েছে পিজিআইএমইআর-এর তরফে। বুকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছিল বলে বুধবার প্রাথমিক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল পাঞ্জাবের একটি হাসপাতালে। তারপরই তাঁর নমুনায় করোনা পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের। চলতি মাসের ৭ তারিখ জার্মানি থেকে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। এই নিয়ে করোনার জেরে মৃতের সংখ্যা ৮।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে অন্ধ্রপ্রদেশ ১ জন, দিল্লিতে ১১ জন, হরিয়ানায় ৩ জন, কর্নাটকে ১৪ জন, কেরলে ২৫ জন, মহারাষ্ট্রে ৪২ জন, উড়িষ্যায় ১ জন, পন্ডিচেরিতে ১ জন, পাঞ্জাবে ২ জন, রাজস্থানে ৫ জন, তামিলনাড়ুতে ২ জন, তেলঙ্গানায় ৪ জন, চণ্ডীগড়ে ১ জন, জম্মু ও কাশ্মীরে ৪ জন, লাদাখে ৮ জন, উত্তরপ্রদেশে ১৬ জন, উত্তরাখণ্ডে ১ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১ জন। সব মিলিয়ে বুধবার সকালের প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে ১৪২ জন আক্রান্তের পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। এছাড়াও বিদেশি রয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে হরিয়ানায় ১৪ জন, কেরলে ২ জন, মহারাষ্ট্রে ৩ জন, রাজস্থানে ২ জন, তেলঙ্গানায় ২ জন ও উত্তরপ্রদেশের একজনের নাম উঠে এসেছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের সংখ্যাও জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মোট ১৫ জন রয়েছেন এই তালিকায়। যার মধ্যে দিল্লি ২ জন, কেরলের ৩ জন, রাজস্থানে ৩ জন, তামিলনাড়ুর ১ জন, তেলেঙ্গনার ১ জন এবং উত্তরপ্রদেশের ৫ জন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনার জেরে।