নয়াদিল্লি: কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায়। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত কোনও দেশে না গেলে অথবা করোনা সংক্রামিত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে না এসেও কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন এই পর্যায়ে। অর্থাৎ যা চিন্তার বিষয়। সেই সম্ভাবনা যে এখনও পর্যন্ত নেই, তা জানানো হয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) তরফে। স্বাভাবিকভাবেই করোনায় জেরবার দেশবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।
এই মুহূর্তে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪। দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পর এবার পাঞ্জাবের ৭২ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতি চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল বিশেষজ্ঞদের কপালে। অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কথা। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ সম্প্রতি ৮২৬ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছে। তাঁরা কেউই করোনা আক্রান্ত দেশে যাননি। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁদের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আইসিএমআর-এর তরফে ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব নিশ্চিত করেছেন যে, এই দেশে এখনও পর্যন্ত কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু করেনি করোনা। আইসিএমআরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রমাণ পাওয়া গেলে তা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির তৈরি করত। কোভিড ১৯-এর তৃতীয় ধাপের দিকে এগনো মানেই তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধরন বদলাতে হতো। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বিশেষজ্ঞরা।
কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বিষয়টি প্রথমে ভাবিয়ে তোলে চেন্নাইয়ের এক করোনা আক্রান্তকে কেন্দ্র করে। তিনি সুস্থ হলেও কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা নিয়েই উঠেছিল প্রশ্ন। তার প্রধান কারণ ছিল, করোনা আক্রান্ত কোনও দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না ওই ব্যক্তির। তবুও তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন? এই বিষয়েই যখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের আশঙ্কা করছিলেন গবেষকরা, তখন জানা যায় যে, চেন্নাইয়ের ওই ব্যক্তি দিল্লিতে এক আক্রান্তের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে করোনার তৃতীয় পর্যায়টিকে অস্বীকার করা হলেও বৃহস্পতিবার আইসিএমআর প্রকাশিত রিপোর্ট কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সমস্ত সভাবনাকেই নস্যাৎ করে দিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।