ভোপাল: মধ্যপ্রদেশে সরকার কে গড়বে, তা নিয়েই চলছিল জল্পনা। করোনার কারণে বিধানসভা ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার বিকেলে হওয়ার কথা ছিল আস্থাভোট। কমলনাথ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার তত্ত্ব খাড়া করলেও শেষমেশ যেন থমকে গেল। ইস্তফা দিলেন খোদ কমলনাথই।
করোনার কারণ দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল বিধানসভা। স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রদেশে কে সরকার গড়বে, সেই প্রশ্নে আরও জটিলতা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ২০ মার্চ বিকেল ৫টায় আস্থাভোট করার নির্দেশ দেয় আদালত। এরই মধ্যে আবারও অঘটন। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কমলনাথের। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ রাজভবনে রাজ্যপাল লালজি টন্ডনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন বলেই জানিয়েছেন কমলনাথ। জ্যোতিরাদিত্য সহ অন্যান্য বিধায়কদের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুর কমলনাথের মুখে শোনা গিয়েছিল বটে। কিন্তু পরিসংখ্যানের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে আস্থাভোটে ভরাডুবির সম্ভাবনা আঁচ করেই কি কমলনাথ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন?
দিনকয়েক আগে জ্যোতিরাদিত্যের কংগ্রেস ছাড়ার ঘটনাই টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়ার সঙ্গে অন্যান্য বিধায়করাও বিজেপি-তে যোগ দেন। ১৮ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে জ্যোতিরাদিত্যের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার খবরে অবাক হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথও। তা তিনি একটি সাক্ষাৎকারেও বলেছেন। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, মুখ্যমন্ত্রী পদ না পাওয়ার জন্যই জ্যোতিরাদিত্যের এই সিদ্ধান্ত। অবশ্য কমলনাথ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, তা ঠিক করার সিদ্ধান্ত তাঁর ছিল না। তবে মধ্যপ্রদেশে কে সরকার গড়বে, তা নির্ধারণ করার জন্য যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কমলনাথের ইস্তফা রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সৃষ্টি করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন, আগাম সেই আঁচ করেই এই সিদ্ধান্ত কমনাথের।