নয়াদিল্লি: করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ জারি হয়েছে। বাড়ি বসেই অর্ডার করছেন খাবার কিংবা কিনছেন কোনও পছন্দের জিনিস। ঘরে বন্দি থেকেও কি আপনি সুরক্ষিত? অনলাইনে কেনাকাটার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯। সাবধান!
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ধুঁকছে সারা বিশ্ব। আটকানো যাচ্ছে না দ্রুত সংক্রামক এই ভাইরাসকে। এই পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি থেকে অনলাইন পরিষেবা নিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু অনলাইনে কেনা পণ্য বা খাবারের বাক্সে যে করোনার ভাইরাস নেই, তার নিশ্চয়তা নেই। এর আগে স্মার্টফোনের টাচ স্ক্রিন থেকে সংক্রমণের আশঙ্কার কথা বলেছিলেন গবেষকরা। গবেষণা বলছে, আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, কোভিড ১৯ প্লাস্টিক, স্টিলে বেশিদিন বাঁচতে পারে।
তবে তামা আর কার্ডবোর্ডেও সক্রিয় থাকে এই ভাইরাস। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশিক্ষণ সক্রিয় থাকতে পারে প্লাস্টিকে। প্রায় তিন দিন। কার্ডবোর্ডের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা একদিনের মতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) দাবি করেছে, করোনা ভাইরাস কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। নির্দিষ্ট কোনও সময়ের উল্লেখ করেনি তারা। এদিকে জার্মানির গবেষকরা বলেছেন, কোভিড ১৯ প্রায় ৪-৫ দিন বাঁচতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই অনলাইন শপিং সাইটে কেনাকাটা করলে যে বাক্সে করে পণ্য আসে, তা থেকে সংক্রমণ ছড়াতেই পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে মোবাইল স্ক্রিন থেকেও। কারণ, মোবাইলের স্ক্রিনে করোনা ভাইরাস সাতদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। সর্বক্ষণের সঙ্গী মুঠোফোন। কিন্তু সেই স্মার্টফোনের স্ক্রিনেই যদি সক্রিয় থাকে করোনার মতো ভাইরাস, তাহলে তা দুশ্চিন্তার বিষয় বৈকি। ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটনের অধ্যাপক উইলিয়াম কেভিল বলেন, 'করোনা মোকাবিলায় আপনি আপনার হাত ধুতে পারেন। কিন্তু তারপরেই মোবাইল টাচ স্ক্রিনে হাত দিয়ে সেই হাত যদি মুখে লাগে তাহলেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।' সুতরাং বারবার শুধু হাত ধুয়ে রোখা যাবে না করোনা ভাইরাসকে। এর পাশাপাশি দিনে অন্তত দু'বার আপনার সর্বক্ষণের সঙ্গী মোবাইলটিকেও মুছতে হবে। এই ক্ষেত্রে অ্যালকোহল ওয়াইপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।