নয়াদিল্লি: করোনার থাবায় কাঁপছে দেশ। সেদিকে তাকিয়ে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারা দেশে আগামী তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করলেন। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি থাকবে। ওই সময়ে দেশের কোনও নাগরিকের বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত নয় বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্যের কাছে নির্দেশিকা গিয়েছে৷ সেখানে জানানো হয়েছে, কোনও রাজ্য সরকার মনে করলে, সেখানে কারফিউ জারি করতে পারে৷ সেই বিষয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে৷ এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও কেন্দ্র সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
রবিবার জনতার জন্য জনতা কার্ফু সফল করে তোলার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এটা জানাতে দ্বিধা করেননি যে দেশবাসীর একাংশের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। আর সেই ধারণা হল, যিনি সুস্থ তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নাও হতে পারেন। একমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরত্ব রাখাই বাঞ্ছনীয়। মোদি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের এখন আশু কর্তব্য হল সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং তৈরি করা। এই সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের আওতায় যে তিনিও পড়েন, সে কথা মোদি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন।
আর দ্বিতীয় কারণ সংক্রমণের শৃ্ঙখল ভাঙা। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী দেশও আজ এই ভাইরাসে পর্যুদস্ত। এই ভাইরাস ক্রমান্বয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ হল এই ভাইরাসের শৃঙ্খলকে যে কোনও মূল্যে ভাঙতে হবে। এই ২১ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত যে তিনি বাধ্য হয়ে নিচ্ছেন, তাও জানাতে দ্বিধা করেননি প্রধানমন্ত্রী। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নমো বলেন, ‘এই ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা না করলে দেশ আরও ২১ বছর পিছিয়ে যাবে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে এর মাশুল দিতে হবে। আজ আমার আপনার সকলের উচিত বাড়ির দরজার সামনে একটা লক্ষ্ণণ রেখা তৈরি করা। বাড়িতে থাকব। সুস্থ থাকব। পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখব।’
এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন একটি পোস্টার, যেখানে তিনি করোনা ভাইরাসের একটি নতুন নামকরণ করেন। সেই পোস্টারে ভাইরাসের আদ্যক্ষর ‘ক’তে লেখা ছিল ‘কোই’। ‘রো’-তে ‘রোডপর’। আর ‘না’-তে -না নিকলে। বাংলা তর্জমা করলে যা দাঁড়ায় কেউ রাস্তায় বের হবেন না।