নয়াদিল্লি: ছেলে বিদেশ থেকে ফিরেছেন। অথচ স্বাস্থ্য দফতরে খবর দেননি খোদ পুলিশকর্মী। আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এর আগে তাঁর ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য মামলা দায়ের করা হল ওই সিনিয়র পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। তেলঙ্গনায় ঘটেছে এই ঘটনা।
তেলঙ্গনার কথাগুদেম জেলার ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯-এ। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি ছাড়াও তাঁর বাড়ির পরিচারিকাও শরীরেও করোনা ধরা পড়েছে বলেই সংবাদসূত্রের খবর। লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন ছেলে। কিন্তু সেই বিষয়ে কোনও তথ্যই ওই সিনিয়র পুলিশকর্মী দেননি স্বাস্থ্য দফতরকে। জনস্বার্থে নেওয়া সরকারি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশকর্মী ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তাঁকে। বিদেশ থেকে ফেরার খবর না দেওয়ার জন্যই মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুসারে নিয়ম অমান্যের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। তাছাড়া কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই ডিএসপি এবং তাঁর ছেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন। রাজ্য সরকারের তরফে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাঁদেরও রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। এছাড়াও পুলিশকর্মীর স্ত্রী এবং কর্মক্ষেত্রে যাঁরা তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের ওপরও নজরে রাখা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে সারা দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে দেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, তেলঙ্গনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫। তার মধ্যে দেশের ২৫ জন এবং বিদেশি রয়েছেন ১০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে সেই রাজ্যে মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া না গেলেও ওই সিনিয়র পুলিশকর্মীর ভূমিকা যে সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে, সেই আশঙ্কাই করছেন নেটিজেনদের একাংশ। এছাড়াও পুলিশকর্মীর 'দায়িত্বজ্ঞানহীনতা'র প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।