‘আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালালে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই’

‘আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালালে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই’

নয়াদিল্লি: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। এই অবস্থায় রবিবার বাড়ির সব আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালাতে বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়তে পারে গ্রিড ব্যবস্থা, এমনই আশঙ্কা স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (এসএলডিসি)। তবে সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস দাবি করেছে, এর ফলে গ্রিড বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী রবিবার রাত ৯টায় দেশবাসীকে ঘরের সব আলো বন্ধ করে দরজার সামনে বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ আলো জ্বালানোর কথা বলেছেন। দেশবাসীর কাছে এই কাজের জন্য ৯ মিনিট চেয়েছেন তিনি। আর তা ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিভিন্ন রাজ্যের গ্রিড ম্যানেজাররা বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন। ৫ এপ্রিল রাতে বাড়ির সব আলো নিভিয়ে দিলে আচমকাই বিদ্যুতের চাহিদা কমবে। তার ৯ মিনিট পর আবার আচমকাই বাড়বে সেই চাহিদা। এর ফলে গ্রিডে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছে সংবাদসূত্রে বলা হয়েছে, মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ৩০% থেকে ৩২% ডোমেস্টিক ক্ষেত্রে লাগে। শিল্পক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ও কৃষিক্ষেত্রে চাহিদা থাকে ২০ শতাংশ। কমার্সিয়াল বিদ্যুৎ চাহিদা থাকে ৮ শতাংশ। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র আলো নেভানোর কথা বলেছেন, তাই তাতে বড়সড় কোনও বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে তারা। ঘরের আলো বাবদ ৩০ শতাংশ বা তার বেশি বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলে গ্রিডে বিপর্যয় ঘটবে না বলেই বিশ্বাস তাদের। যদিও ইতিমধ্যে গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর সঙ্গে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ। তাদের একাধিক নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আগে থেকেই সময়টি নির্ধারিত, সুতরাং সমস্যা যাতে তৈরি না হয়ে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 4 =