করোনা: কেউ গড়ছে হাসপাতাল, কেউ দিচ্ছে ওষুধ! মানবিক ২২ বেসরকারি সংস্থা

করোনা: কেউ গড়ছে হাসপাতাল, কেউ দিচ্ছে ওষুধ! মানবিক ২২ বেসরকারি সংস্থা

6cbe9886de4d6f0566f05834ed18e9e0

নয়া দিল্লি: কোভিড ১৯-এর জেরে গোটা দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা রোখার জন্য সবাইকে এক ছাদের নীচে আসতে হবে। এই মুহূর্তে সমবেত লড়াইয়ের মাধ্যমেই মোকাবিলা করতে হবে করোনার বিরুদ্ধে। সেই উদ্দেশ্যে আহ্বান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিও নেমেছে কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে। কেউ অনুদান করছে, কেউ আবার হাসপাতাল গড়ছে, কেউ আবার সরবরাহ করছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এমনই কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা, যারা লড়ে চলেছে করোনার বিরুদ্ধে:

ভারতী এয়ারটেল: গ্রাহকদের বিনামূল্যে কনটেন্ট পড়ার সুযোগ দিচ্ছে সংস্থাটি।

মারুতি সুজুকি: প্রতি মাসে ১০ হাজার ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।

টিভিএস মোটরস: পিএম কেয়ারস তহবিলে ২৫ কোটি টাকা অনুদান করেছে টিভিএস মোটরস।

হিরো মোটোকর্প: হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দফতরে মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস ছাড়াও ১০০টি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামে মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে স্বাস্থ্যবিভাগকে ৬০টি মোটরসাইকেল দেবে বলেও জানিয়েছে তারা।

ম্যারিকো: পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য সাহায্য মিলিয়ে এই সংস্থাটির বরাদ্দ ২.৫ কোটি টাকা।

আইটিসি: মহামারীর জেরে অসহায় মানুষের সাহায্যে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সংস্থাটি।

হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড: ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এই সংস্থাটির। ২ কোটি লাইফবয় সাবান ছাড়াও স্যানিটেশন সামগ্রী সরবরাহ করার সংকল্প নিয়েছে তারা।

গোদরেজ কনজিউমার: গোদরেজ গ্রুপ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে করোনা মোকাবিলায় তাদের উদ্যোগে।

রিলায়েন্স ইডাস্ট্রিজ: ১০০ বেডের করোনা হাসপাতাল গড়েছে সংস্থাটি। ভারতের বিভিন্ন শহরের মানুষদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহও করছে তারা।

কোল ইন্ডিয়া: ভুবনেশ্বরের কোভিড হাসপাতালের জন্য ৫০০ বেডের বন্দোবস্ত করেছে তারা।

সান ফার্মা: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন-সহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহের অঙ্গীকার করেছে তারা। এই খাতে তাদের বরাদ্দ ২৫ কোটি টাকা।

এল অ্যান্ড টি টেকনোলজি: অনুদান ছাড়াও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিসিএস: অনুদান ছাড়াও গবেষণার ক্ষেত্রে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইনফোসিস: চিকিৎসাক্ষেত্রে সহায়তার অঙ্গীকার করেছে সংস্থাটি।

টেক মাহিন্দ্রা: চিকিৎসা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহায়তার প্রতিশ্রুতি।

জেএসডব্লিউ স্টিল: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারে বিভিন্ন ত্রাণ তহবিলে ১০০ কোটির সাহায্য ছাড়াও সংস্থাটির কর্মীরা তাঁদের একদিনের বেতন দেবে পিএম কেয়ারস তহবিলে।

বেদান্ত: করোনা মোকাবিলায় সংস্থাটির বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা।

টাটা স্টিল: জামসেদপুর এলাকার অসহায় মানুষের সহায়তায় রোজ ৫০ হাজার খাবার সরবরাহ করছে সংস্থাটি। এছাড়াও টাটা সন্স ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য বাবদ।

এনএমডিসি: ১৫০ কোটি টাকা পিএম কেয়ারস তহবিলে অনুদান।

এনটিপিসি: সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের খাতে আসিওলেশন ওয়ার্ড তৈরি ছাড়াও ১২১টি বেড এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *