করোনা চিকিৎসায় মিলল নতুন থেরাপি প্রয়োগের ছাড়পত্র, পথ দেখাচ্ছে ভারত

করোনা চিকিৎসায় মিলল নতুন থেরাপি প্রয়োগের ছাড়পত্র, পথ দেখাচ্ছে ভারত

নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণে প্লাজমা থেরাপি কাজ করে কি না, সেই নিয়ে সারা বিশ্বে গবেষণা চলছে৷ কিছু দিন আগে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ৷ তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে গবেষণা শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন পেলেই মানুষের ওপর ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে৷ আইসিএমআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মানুষের শরীরে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হতে পারে৷ প্লাজমা থেরাপি ও প্লাজমা এক্সচেঞ্জ থেরাপি এই দুই ধরনের পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷

পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির(এনআইভি) সহযোগিতায় এই গবেষণা চলছে৷  মনে করা হচ্ছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন চলে আসবে৷ তারপরেই এই পদ্ধতি মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে৷ তবে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি মানুষের ওপর প্রয়োগ করতে আরও দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ততার আগে মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য রেজেস্ট্রি করা প্রয়োজন৷ প্রাথমিকভাবে করোনায় যে সমস্ত রোগীদের অবস্থা সঙ্কটজনক, তাঁদের ওপর এই থেরাপি প্রয়োগ করা হবে৷ দেশের মধ্যে অন্তত ২০টি মেডিক্যাল কলেজে এই থেরাপি প্রয়োগ করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে৷

আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সুস্থ রোগীদের থেকে প্লাজমা নিয়ে আক্রান্তদের শরীরে প্রয়োগ করা হবে৷ তার আগে দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ ও রক্তের আরও কিছু পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। কারণ প্লাজমা থেরাপি সব রোগীর উপরে প্রয়োগ করা নাও যেতে পারে। সংক্রমণের ধরন, উপসর্গ, রোগীদের শারীরিক অবস্থা অনেক কিছু পরীক্ষা করে দেখে তবেই এই থেরাপির প্রয়োগ হতে পারে। তার ওপর দাতার শরীরে সংক্রমণ থেকে গেছে কিনা সেটাও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও তাঁকে ৭-১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। সংক্রমণ সম্পূর্ণ সেরে গেছে নিশ্চিত হলেই তাঁর প্লাজমা নেওয়া হয় থেরাপির জন্য। আইসিএমআর জানাচ্ছে, দাতার থেকে নেওয়া প্লাজমার স্যাম্পেল বহুবার পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হবে পুণের এনআইভিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =