ভারতে করোনা আক্রান্তের প্রায় ৩০% নিজামুদ্দিনের সঙ্গে জড়িত: স্বাস্থ্য মন্ত্রক

দিল্লির নিজামুদ্দিন যে ভারতের করোনা বিরোধী লড়াইকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়ালের কথায়৷  ভারতে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৩০ শতাংশই দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷  

নয়াদিল্লি:  দিল্লির নিজামুদ্দিন যে ভারতের করোনা বিরোধী লড়াইকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়ালের কথায়৷  ভারতে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৩০ শতাংশই দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷  

শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে লব আগরওয়াল জানান, ভারতের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৩৭৮ জন৷ এর মধ্যে ৪,২৯১ জনই দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজের সঙ্গে জড়িত৷ যা মোট আক্রান্তের প্রায় ২৯.৮ শতাংশ৷ শুধুমাত্র একটি ঘটনা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল৷ এখনও অনেকেই দিল্লি ও ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ফলে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ধর্মীয় সমাবেশ না হলে ভারতের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব৷ 

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ দিল্লির ঘনবসতিপূর্ণ নিজামুদ্দিন এলাকার মরকজে ধর্মীয় সমাবেশের ডাক দেয় তবলিঘি জামাত৷ ওই জমায়েতে সামিল হন দেশ বিদেশের বহু মানুষ৷ তবলিগি জামাতের ওই ধর্মীয় সমাবেশের জন্য মরকজে প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকের জমায়েত হয়৷ সেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলে ১২ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। তবে এর পর লকডাউন শুরু হওয়ায় তাঁদের মধ্যে অনেকেই আটকে পরেন মরকজে৷ পরে ঘটনাটি জানতে পেরে আসরে নামেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল৷ তাঁর নেতৃত্বে দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিল করে দিল বড় এলাকা। বার করে আনা হয় মরকজে থাকা প্রায় ২০০০ মানুষকে৷ তাঁদের মধ্যে অনেকেই করোনা পজেটিভ ছিলেন৷ তাঁদের সকলকেই দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়৷