নয়াদিল্লি: আতঙ্কের নাম করোনা৷ উপসর্গ সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট৷ কিন্তু, এমন উপসর্গ না থাকলেও যে কেউ করোনার শিকার নয়, তা এখনও নিশ্চিত নয়! সোমবার চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর৷
আইসিএমআরের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট রামন গঙ্গাখেড়কর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, উপসর্গ দেখা যায়নি, এমন ব্যক্তিদের পরীক্ষা করলেও তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশের দেহে করোনা মিলতে পারে৷ বেশ সংখ্যায় পরীক্ষা করা করলে এই উপসর্গহীনদের চিহ্নিত করা যাবে না৷ ভারতের মতো দেশে জনে জনে পরীক্ষা করা কার্যত অসম্ভব!
উপসর্গ না থাকা ব্যক্তিরা করোনার শিকার হতে পারেন, এই বিষয়টি নিয়ে গতকালই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ মুখ্যমন্ত্রীর সেই উদ্বেগের পর বিজ্ঞানী গঙ্গাখেড়কর জানিয়েছেন, সংক্রামিতদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজা নেওয়া ছাড়া এখন আর কোনও বিকল্প নেই৷ তবে, আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবিষয়ে অন্য কোনও উপায় বের করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
এই মুহূর্তে সরকারের কাছে এখন প্রধান লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব করোনাকে জয় করা৷ করোনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র-রাজ্য৷ লড়ছে গোটা বিশ্ব৷ চলছে গবেষণা৷ করোনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদদ্ধতিও অবলম্বন করা হচ্ছে৷ ফলে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ সরকারি বিধি পালন ও সচেতন থাকলেই করোনা হারানো সম্ভব বলেই মনে করছেন গবেষকরা৷
অন্যদিকে, ভারতে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৩৬ জনের শরীরে ভাইরাস মিলেছে৷ মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের৷ এই নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯০, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৬০১ জন৷ ৩২৫২ জন রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন৷
ভারতে করোনায় আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র৷ আক্রান্ত সেখানে ৪৬৬৬ জন৷ ৫৭২ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও ২৩২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে৷ মহারাষ্ট্রের পর তালিকায় দ্বিতীয় নয়াদিল্লি৷ রাজধানীতে মোট কআক্রন্ত দু’হাজারেরও বেশি৷ ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ সুস্থ হয়েছেন ৪৩১ জন৷ দিল্লির পর রয়েছে গুজরাত৷ আক্রান্ত সেখানে ২ হাজার৷ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩১ জন৷ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ রাজস্থানে আক্রান্ত ১৫৭৬ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের৷ ২০৫ সুস্থ হয়ে গিয়েছেন৷ তামিলনাড়ুতে মোটা আক্রান্ত ১৫২০ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের৷ সুস্থ ৪৫৭ জন৷ মধ্যপ্রদেশে আক্রান্ত ১৪৮৫ জন৷ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২৭ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের৷ উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ১১৮৪, মৃত্যু ১৮, সুস্থ ১৪০ জন রোগী৷