চিনের পাঠানো করোনা কিটে গলদ, ভারতকে সাহায্যের আশ্বাস!

চিনের পাঠানো করোনা কিটে গলদ, ভারতকে সাহায্যের আশ্বাস!

নয়াদিল্লি:  দেশজুড়ে কিটের হাহাকার মিটিয়ে যদিও বা চিন থেকে ভারতে এসে পৌঁছল ‘র্যা পিড অ্যান্টিবডি’ পরীক্ষার পাঁচ লক্ষ কিট, তিন দিনের মধ্যেই তার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল৷ একাধিক রাজ্য থেকে অভিযোগ আসার পর সোমবার রাজ্যগুলিকে আপাতত দু’দিনের জন্য চিনা টেস্টিং কিট ব্যবহার বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার চিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা চিকিৎসা সামগ্রীর গুরুত্ব বুঝি৷’ চিন থেকে পাঠানো ব়্যাপিড টেস্টিং কিটে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ এই অবস্থায় ভারতকে প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত চিন৷ 

নয়াদিল্লিতে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, ব়্যাপিড টেস্টিং কিট সংক্রান্ত রিপোর্টের উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ রফতানি করা চিকিৎসা সামগ্রীর গুণমানের উপর চিন বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে থাকে৷  এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ বিষয়টি যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে৷’’ 

মঙ্গলবার আইসিএমআর-এর এপিডেমিওলজি ও কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রধান রমনআর গঙ্গাখেড়কর জানিয়েছিলেন, ‘‘ব়্যাপিড টেস্টিং কিট নিয়ে সমস্যায় পড়েছে রাজ্যগুলি৷ এই বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ এই কিটগুলিতে পরীক্ষার মান সন্তোষজনক নয়৷ এদিন আরও তিনটি রাজ্যের সঙ্গে আমরা কথা বলে জানতে পেরেছি, পরীক্ষার ফলে অনেক হেরফের হচ্ছে৷ ৬ থেকে প্রায় ৭১ শতাংশ পর্যন্ত ঠিক ফল দিচ্ছে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার এই কিট৷ এটা মোটেও ভালো বিষয় নয়৷ আমরা এটি অবজ্ঞা করতে পারিনা৷ ফারাক এতটা বেশি হওয়ায় সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।’’  

এই বিষয়ে প্রথম অভিযোগ করে রাজস্থান। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা জানিয়েছেন, ১৬৮ জন সংক্রমিতের নমুনা নিয়ে ওই অ্যান্টিবডি কিটে পরীক্ষা করলে কী ফল আসে, তা দেখা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৫.৪% নমুনা পজেটিভ হয়েছে। অর্থাৎ বাকিদের সংক্রমণ হয়নি বলে দেখিয়েছে চিনা কিট।

গত ১৮ এপ্রিল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে চিন থেকে ৩ লক্ষ ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আসে ভারতে৷ যা পাঠানো হয় তামিলনাড়ু এবং রাজস্থানে৷ কিন্তু দু’দিনের মধ্যেই এই কিটে গলদ ধরা পড়ে৷ তবে শুধু ভারত নয়, চিনা কিটে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে স্পেন, ব্রিটেন এবং চেক রিপাবলিকও৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + thirteen =