নয়াদিল্লি: চিন থেকে আমদানি করা র্যা পিড অ্যান্টিবডি টেস্টিং কিট নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। একদিন আগেও চিনের তরফে জানানো হয়েছিল, এই অভিযোগের ভিত্তিতে তারা সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারতকে। অথচ শুক্রবার কিট সংক্রান্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা জবাবে ভারতীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রকৃত নিয়ম মেনে কিট ব্যবহারের পরামর্শ দিল প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। কিটে কোনও সমস্যা নেই, ব্যবহার করতে পারছেন না তাঁরা, এমনই দাবি সংস্থাটির।
চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের একাধিক সংস্থার কাছে কিটের অর্ডার দিয়েছে ভারত। তার মধ্যে যা এই দেশে এসে পৌঁছেছে, তার সিংহভাগই চিনের। সেই কিটগুলি নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। রাজ্যগুলির অভিযোগের ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) পরীক্ষা করে দেখার জন্য সেই কিটের ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলা হয়। এই অভিযোগ উঠতেই চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বৃহস্পতিবার টুইটে বলেন, র্যা পিড টেস্টিং কিটের বিষয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। রফতানি করা মেডিক্যাল সামগ্রীর ক্ষেত্রে গুণমানের বিষয়ে চিন যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। ভারত থেকে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই সেই দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব এবং এই বিষয়ে সবরকম সহায়তা করব।'
চিনা ওই কিটের প্রস্তুতকারী সংস্থাদু'টি হল ওন্ডফো বায়োটেক ও লিভজন ডায়াগনস্টিক। বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও এই র্যাংপিড টেস্টিং কিট সরবরাহ করেছে তারা। ওন্ডফো বায়োটেকের তরফে বলা হয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ৭০টি দেশে প্রায় ১.৮ কোটি কিট সরবরাহ করেছে। লিভজন ডায়াগনস্টিকের তরফে জানানো হয়েছে, চিনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্টস অ্যাশমিনিস্ট্রেশন গত ১৪ মার্চ এই কিটে অনুমোদন দিয়েছে। এমনকী, চিনের বিভিন্ন হাসপাতালেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই কিট।
এই প্রসঙ্গে সংস্থাদু'টি জানিয়েছে, ব়্যাপিড টেস্টিং কিটে কোনও সমস্যা নেই। বরং ওই মেডিক্যাল সামগ্রীটি ব্যবহারের আগে সঠিক নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে তারা। এই ক্ষেত্রে কত তাপমাত্রায় কিটগুলো রাখতে হবে, কিটগুলি ব্যবহারের সময়সীমা এবং কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেই সমস্ত নিয়মাবলী দেওয়া হয়েছে সংস্থা দু'টির তরফে। সেগুলি মেনেই ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়েছে ওন্ডফো বায়োটেক ও লিভজন ডায়াগনস্টিক।