নয়াদিল্লি: ভারতেও তৈরি হতে পারে কোভিড-19 এর প্রতিষেধক। হ্যাঁ, এই কাজে দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভারতের বিজ্ঞানীরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। গত এক-দেড় মাসের প্রবল অস্বস্তিকর সময়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দেশবাসী। এই সময়ে, একটি দেশীয় সংস্থা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির পথে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে বলে দাবি করেছে। যা, একটি রুপোলি রেখার মত জ্বলজ্বল করছে।
দেশীয় সংস্থা 'বায়োকোন'-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিরণ মজুমদার শ জানিয়েছেন, “এক বছরের মধ্যেই ভারতে তৈরি প্রতিষেধক পাওয়া যাবে। দু-তিনটি ছোট কোম্পানি খুব ভাল কাজ করছে। তারা কিছু বড় কোম্পানির সঙ্গে জুটি বেঁধেছে।” সংবাদমাধ্যম 'দ্যা প্রিন্ট' কে কিরণ বলেছেন, “আমরাও ওদের সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিষেধকের গঠন এবং (গবেষণার) খরচের উপর উপর নজর রেখে চলেছি।” কিরণ আরও বলেন, প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে মানুষের মানসিক চাপ কমবে। মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করবে যে, এই রোগের চিকিৎসা রয়েছে।
কিরণ 'প্লাজমা থেরাপি'র উপর বিশেষ জোর দিতে চাইছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর কোম্পানি বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন। যেসব রোগী কোভিড 19 থেকে সেরে উঠেছেন তাঁদের রক্ত নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। কিরণ বিশ্বাস করেন, প্লাজমা থেরাপি কোভিড 19 চিকিৎসার জন্য সেরা উপায়। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু চিকিৎসার জন্যও প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা হয়েছিল।
সেরে ওঠা মানুষের রক্তের প্লাজমা বা রক্তরস নিয়ে এন্টিবডি সংগ্রহ করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, ওই এন্টিবডিগুলি কোভিড 19 ভাইরাসকে হারিয়ে দিয়েছে। তাদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। পরবর্তীকালে, ওই এন্টিবডি কোনও কোভিড 19 রোগীর দেহে প্রবেশ করলে ভাইরাসের মৃত্যু হবে। এভাবেই রোগী সেরে উঠতে পারবে। কিরণ বলেন, আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. সিদ্ধার্থ মুখার্জি এই চিকিৎসার কথা বলছেন। কিছু আমেরিকান কোম্পানি বায়োকনে'র সঙ্গে যৌথ ভাবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি উপর কাজ করছে।