চিনের টেস্ট কিট রাজ্যের কাছে ফেরত চাইল আইসিএমআর

চিনের টেস্ট কিট রাজ্যের কাছে ফেরত চাইল আইসিএমআর

নয়াদিল্লি: চীন থেকে আসা র্যা পিড অ্যান্টিবডি ব্লাড টেস্ট কিট নিয়ে অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছে। করোনা পরীক্ষায় এই কিটে যে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিল, তাতে গলদ রয়েছে বলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে ওই কিট ব্যবহার স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিল চীনের প্রস্তুতকারী সংস্থা ওন্ডফো বায়োটেক এবং লিভজন ডায়াগনস্টিক। তবে অভিযোগ যাচাই করে এবার সেই সমস্ত কিট রাজ্যগুলির কাছে ফেরত চাইল আইসিএমআর।

চলতি মাসেই প্রায় ৫ লক্ষ র্যা পিড অ্যান্টিবডি ব্লাড টেস্ট কিট পাঠিয়েছিল চীনের ওন্ডফো বায়োটেক ও লিভজন ডায়াগনস্টিক সংস্থা দু'টি। বিভিন্ন রাজ্য থেকেই কিট নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতে বিষয়টি যাচাই করে আইসিএমআর। ওই কিট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে তারা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে আইসিএমআর। সেখানে চীনের সংশ্লিষ্ট দু'টি সংস্থায় প্রস্তুত কিটগুলি ফেরত পাঠানোর কথা বলেছে তারা। কারণ হিসেবে সংস্থার তরফে বলা হয়, 'ওন্ডফো বায়োটেক এবং লিভজন ডায়াগনস্টিক থেকে নেওয়া র্যাাপিড অ্যান্টিবডি ব্লাড টেস্ট কিটের ফলাফলে বিস্তর তারতম্য রয়েছে।' এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কিট রয়েছে।

যদিও চীনের ওই কিট প্রস্তুতকারী সংস্থা দু'টি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ওই র্যানপিড টেস্টিং কিট সরবরাহ করেছে বলেও জানিয়েছিল তারা। ওন্ডফো বায়োটেকের তরফে বলা হয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ৭০টি দেশে প্রায় ১.৮ কোটি কিট সরবরাহ করেছে। চীনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্টস অ্যাশমিনিস্ট্রেশন গত ১৪ মার্চ ওই কিটে অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানিয়েছিল লিভজন ডায়াগনস্টিক। এই প্রসঙ্গে সংস্থাদু'টি আরও জানিয়েছে, র্যা পিড টেস্টিং কিটে কোনও সমস্যা নেই। বরং কত তাপমাত্রায় কিটগুলি রাখতে হবে, কিটগুলি ব্যবহারের সময়সীমা এবং কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেই সমস্ত নিয়মাবলী মেনে মেডিক্যাল সামগ্রী ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − ten =