লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও চুপ কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষা?

লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও চুপ কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষা?

নয়াদিল্লি: আগামী রবিবারের পরেও লক ডাউন চলবে কিনা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত তার কোনও স্পষ্ট নির্দেশ মেলেনি। আগামী রবিবার শেষ হচ্ছে সারা দেশে দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ। তার আগে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। তবে ৩ মে’র পর লকডাউন চলবে কি না সে সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব৷ গত সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ নিয়ে কোন কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনও রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে এ ব্যপারে কিছু জানানো হয়নি। সব দেখে-শুনে ওয়াকি বহাল মহলের অভিমত, খোদ প্রধানমন্ত্রী এব্যপারে পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবেন। এবং তা জানানো হবে যথাযথ সময়ে। সেকারণেই কেন্দ্রের তরফে আপাতত নিরবতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা নবান্নে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘক্ষন ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ৩ তারিখের পরেও লকডাউন চলবে কি না তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব কোন স্পষ্ট কথা বলেননি৷ সব রাজ্য থেকে রিপোর্ট আসার পরেই তা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে কেন্দ্রীয় সচিব জানিয়েছেন। এদিকে লকডাউন নিয়ে রাজ্য সরকারের গঠিত তিনটি টাস্কফোর্সের তরফে আজ রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।

শুক্রবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র’র পৌরহিত্যে করোনা নিয়ে গঠিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির বৈঠকে রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার পরে রাজ্যে লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি  জানিয়েছেন। কেন্দ্রের নির্দেশে ইতিমধ্যেই পেট্রাপোল আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব বলেন, নির্দেশ মেনে এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজ্য সরকার আরও কঠোর হতে পারে কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার বিষয়টি মাতায় রেখে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স-সহ যে সব ব্যক্তি সামনে থেকে কাজ করছেন রাজ্য সরকার তাদের জীবন সুরক্ষায় যে বিশেষ বীমা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল তার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে৷ বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সরকারিভাবে এই তথ্য জানানো হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত বা মৃত ব্যক্তিরা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই বীমা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। ১০ লক্ষ ব্যক্তিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে৷

করণায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে এই প্রকল্পে মৃতের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা এবং আক্রান্তদের  চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে বলে আগেই জানানো হয়েছে। আগে এই বীমা প্রকল্পে ১৪ মে পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছিল। এদিকে এই প্রকল্পে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ২১ জন করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য তাদের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত দুই জন  চিকিৎসকের পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =