সাবধান! নকল ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপে চক্রান্তের ছক পাক গুপ্তচর সংস্থার

সাবধান! নকল ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপে চক্রান্তের ছক পাক গুপ্তচর সংস্থার

নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপের অনুকরণে ভুয়ো অ্যাপ তৈরি করে চক্রান্তের ছক কষছে পাকিস্তান৷ ভারতীয় সেনা জওয়ানদের নিশানা করতে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সতর্ক করে দিল ভারতীয় সেনা৷ গোয়ান্দা সূত্রের দাবি, ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য হাতাতেই এই ভুয়ো অ্যাপ তৈরি করেছে পাকিস্তান৷

ভারতীয় সেনা এবং আধাসামরিক বাহিনীকে পাকিস্তানের তৈরি ভুয়ো 'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে৷ গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ভুয়ো মোবাইল অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য  ভারতীয় সেনা ও আধাসেনা সদস্যদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেল বা সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোনও প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্ষতিকারক লিঙ্ক পাঠানো হতে পারে। সেই ফাঁদে যাতে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা পা না দেয়, তার জন্য ‘মাইগভ ডট ইন’ ওয়েবসাইট থেকে বৈধ লিঙ্কের মাধ্যেই ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোর বা আইওএস অ্যাপল প্লে স্টোর থেকেও ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে। কোনও সন্দেহজনক লিঙ্কে যেন সেনারা ক্লিক না করেন, সেই বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে৷

কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে দেশে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ করোনা আক্রান্তদের উপর নজরদারি চালাতে এপ্রিলের শুরুতে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি আনা হয়৷ মোবাইলের ব্লুটুথ এবং জিপিএস-এর মাধ্যমে অ্যাপ ব্যবহারকারীর গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়। এই অ্যাপ স্মার্টফোনের লোকেশন ও ব্লু টুথের সাহায্যে জানিয়ে দেবে, কাছাকাছি কোনও কোভিড ১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন কিনা। লোকেশন ডাটা ব্যবহার করে এই অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে আক্রান্ত ব্যক্তি ঠিক কোথায় আছেন এবং কাদের সংস্পর্শে এসেছেন। এই অ্যাপের নকল করেই পাক গুপ্তচর সংস্থাগুলি ভারতের তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে৷ 

কিছুদিন আগেই ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নভরানে বলেছিলেন, ভারত যখন অভ্যন্তরীন ক্ষেত্রে ও আন্তর্জাতিকভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন পাকিস্তান ভারতে ও অন্যান্য জায়গায় সন্ত্রাস ছড়ানোর পরিকল্পনা করছে৷  

কিন্তু কী ভাবে তথ্য হাতাতে চাইছে পাকিস্তান? গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই অ্যাপ ইনস্টল করার সময় ইউজারের কাছে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং অতিরিক্ত অ্যাপলিকেশন প্যাকেজ ডাউনলোডের অনুমতি চাওয়া হয়৷ অনুমতি মেলার পর ইউজারের অজান্তেই তাঁর মোবাইলে ক্ষতিকারক লিঙ্ক বা ভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায়৷ এই ভাইরাসগুলির মাধ্যমেই ব্যবহারকারীর ফোনে নজরদারি চালাতে পারবে পাক হ্যাকাররা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 12 =