১৮ বছরের তরুণ ব্যবসায়ীর সংস্থার অংশীদারিত্ব কিনলেন রতন টাটা

১৮ বছরের তরুণ ব্যবসায়ীর সংস্থার অংশীদারিত্ব কিনলেন রতন টাটা

670eb2455d80ff77067b121cdc344e5d

মুম্বই:  সাধারণ মানুষের কাছে সস্তায় ওষুধ পৌঁছে দিতে মুম্বইয়ের একটি ফার্মেসি রিটেল চেন জেনেরিক আধারের ৫০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিলেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটা। যদিও এটি তাঁর ব্যাক্তিগত বিনিয়োগ৷ এর সঙ্গে টাটা গ্রুপের কোনও যোগ নেই৷ তবে কত টাকার বিনিময়ে তিনি এই অংশীদারিত্ব কিনেছেন সে বিষয়ে জানা যায়নি৷ 

অন্যান্য অনলাইন ফার্মেসির তুলনায় জেনেরিক আধার বাজার মূল্যের চেয়ে অনেকটা কম দামে ওষুধ বিক্রি করে থাকে৷  জেনেরিক আধারের মালিক ১৮ বছরের অর্জুন দেশপান্ডে মুম্বইয়েরই বাসিন্দা। তিনি নিজে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন৷ এক সাক্ষাত্কাসরে অর্জুন জানান, ‘‘এই ব্যবসার পরিকল্পনা শোনার পর রতন টাটা স্যার ব্যক্তিগত ভাবে এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ জেনারিক আধারকে প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে তিনি এগিয়ে আসেন৷ দু’দিন আগেই তিনি জেনেরিক আধারের ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব কিনেছেন৷ শীঘ্র এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে৷’’

অর্জুন জানান, সস্তায় মানুষের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য৷ তিনি বলনে, ‘‘আমি লক্ষ করেছি, অধিকাংশ সময়েই জেনেরিক ওষুধকে বাজারে ব্র্যান্ড মেডিসিন হিসাবে তুলে ধরা হয় এবং অযথা চড়া দামে তা বিক্রি করা হয়৷ ব্র্যান্ড প্রোমোশন এবং অ্যাডভার্টাইজিং-এর খরচের জন্যই বাড়তি টাকা দিতে হয় ক্রেতাদের৷’’ জেনেরিক আধার বি২বি২সি মডেল মেনে চলে৷ যেখানে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কাছ থেকে ওষুধ কিনে সরাসরি খুচরো বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে জেনেরিক আধার৷ ফলে মধ্যস্থতাকারীদের ব্যয় এখানে থাকে না৷ ফলে অনেক সস্তায় সাধারণ মানুষের কাছে ওধুষ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়৷    

৮২ বছরের রতন টাটা এর আগেও ওলা, পেটিএম, স্ন্যাপডিল, কিওরফিট, আর্বান ল্যাডার, লেন্সকার্ট এবং লিব্রেটে বিনিয়োগ করেছেন৷ এবার তিনি যুক্ত হলেন ফার্মেসি রিটেল চেনের সঙ্গে৷  ২ বছর আগে জেনেরিক আধার শুরু করেছিলেন অর্জুন দেশপান্ডে। বর্তমানে এই সংস্থার বার্ষিক আয় ৬ কোটি টাকা। এই সংস্থায় কাজ করেন প্রায় ৫৫ জন কর্মী। রয়েছেন ফার্মাসিস্ট, আইটি ইঞ্জিনিয়ার এবং মার্কেটিংয়ের কর্মী। ১৮ বছরের এই ব্যবসায়ী আরও  জানিয়েছেন, ‘‘আগামী ১ বছরের মধ্যে এক হাজার ছোট ফ্রাঞ্চাইজি ওষুধের দোকান খোলার ইচ্ছা রয়েছে তাঁদের। ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং দিল্লিতে৷’’ প্রধানত ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সাপ্লাই করে থাকে এই সংস্থা। আগামীদিনে ক্যানসারের ওষুধ বিক্রির পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *