নয়াদিল্লি: লকডাউন পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের আর্থিক সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রের কাছে এর আগেই জানিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। এবার একই সুর শোনা গেল রাহুল গান্ধীর কথায়। দেশের ৫০ শতাংশ পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানালেন তিনি। লকডাউনে দেশবাসীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করেই কেন্দ্র সরকারের কাছে তিনি এই আবেদন জানিয়েছেন।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে অসংগঠিত কর্মী ছাড়াও দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বেহাল দশার কথা উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অবিলম্বে অন্তত ৫০ শতাংশ পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা বলেন। এই ক্ষেত্রে পরিবার পিছু ৭,৫০০ টাকা দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। এছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। অন্তত ৬ মাস সুদের ক্ষেত্রেও সরকারি ভর্তুকির কথা বলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, 'এটা পরিষ্কার যে, বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাবে ওই সংস্থাগুলি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা যদি এই সময়েও তাদের জন্য কিছু না করি, তারা আরও সঙ্কটের মুখে পড়বে।'
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসঙ্গে এদিন তিনি আরও বলেন, 'ওই সংস্থাগুলি যাতে তাদের চরম সঙ্কটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেই কথা ভেবে আমাদের একটা সুরক্ষার দেওয়াল গড়তে হবে।' তিনি এও বলেন, এই অবস্থায় শুধুমাত্র ক্ষুদ্র শিল্পকে সাহায্য করলেই চলবে না, বেহাল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহৎ শিল্পের কথা ভেবেও সরকারের পদক্ষেপ করতে হবে। উদাহরণ দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমরা যদি কোনও যন্ত্র চালাই, তাহলে সেই যন্ত্রের নির্দিষ্ট একটা অংশ নিয়ে ভাবলে চলবে না।' ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে কেন্দ্রকে।
এর আগে ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে সনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, 'লকডাউনের প্রথম ধাক্কাতে অন্তত ১২ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।' এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পড়া পরিবারকে ৭,৫০০ টাকা আর্থিক সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।