গ্যাস বিপর্যয়! LG কেমের বিরুদ্ধে FIR পুলিশের, খোলা আকাশের নিচে জনতা

গ্যাস বিপর্যয়! LG কেমের বিরুদ্ধে FIR পুলিশের, খোলা আকাশের নিচে জনতা

চেন্নাই:  অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলজি কেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ৷ এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও প্রায় ১০০০ জন মানুষ৷ 

বিশাখাপত্তনমের দক্ষিণ শহরতলির কাছে গোপালপত্তনম এলাকায় রয়েছে এলজি পলিমার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামের ওই রাসায়নিক কারখানা। মূলত পলিয়েস্টার পলিথিন তৈরি হত ওই কারখানায়। সেই কাজে ব্যবহার করা হত স্টাইরিন নামের গ্যাস। যা মানব শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর৷ বৃহস্পতিবার কাক ভোরে কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হতে শুরু করে৷ অসুস্থ হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ৷ এর পরেই খালি করে দেওয়া হয় কারখানা সংলগ্ন এলাকা৷ শুক্রবার সেই কাজ আরও বিস্তৃত করে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা ফাঁকা করে দেয় সংস্থার কর্তৃপক্ষ৷ 

এই ঘটনার জন্য এলজি কেম সংস্থার অধীনস্থ এলজি পলিমার্সের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ এই দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে গাফিলতির অভিযোগ তুলছে বিশাখাপত্তনম পুলিশ। তাদের মতে, যে ট্যাঙ্ক থেকে গ্যাস লিক করেছে তা রক্ষণাবেক্ষণই হত না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলা এবং অপরাধমূলক নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷  অন্যদিকে, এলজি কেম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লকডাউনের জেরে টানা ৪৫ দিন কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত কর্মীরা প্ল্যান্টেই ছিলেন। তাসত্ত্বেও কী ভাবে গ্যাস লিক হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এদিন সিওল থেকে এলজি কেমের মুখপাত্র বলেন, শুক্রবার আরও বিস্তীর্ণ এলাকা ফাঁকা করা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে৷ কারখানায় নতুন করে গ্যাস লিকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে গুজব ছড়িয়েছে৷ অনেকে আবার মনে করছেন কারাখানায় তাপমাত্র অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় নতুন গ্যাস লিক হতে পারে৷ কিন্তু এমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই আশ্বস্ত করেছেন এলজি কেমের মুখপাত্র৷ তিনি বলেন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই কারখানা সংলগ্ন এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *