পরকীয়া! স্বামীকে খুন করে করোনায় মৃত্যু বলে দাবি স্ত্রীর

পরকীয়া! স্বামীকে খুন করে করোনায় মৃত্যু বলে দাবি স্ত্রীর

নয়াদিল্লি: ত্রিকোণ প্রেমের বলি স্বামী। শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনা ঘটল নয়া দিল্লিতে। তবে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে কোভিড ১৯ ভাইরাস আক্রমণে, এমনই প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। পুলিশের জেরার মুখে যদিও প্রকৃত সত্য স্বীকার করেছেন ওই মহিলা।

দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। অনিতার স্বামী ৪৬ বছরের শরৎ দাস উত্তর পশ্চিম দিল্লির অশোকবিহারে একটি ছোট দোকান চালান। সূত্রের খবর, অনিতার অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। তারই জেরে পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যা করেন অনিতা। যদিও পরদিন সকালে প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন, করোনার জেরেই মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। তবে করোনা আতঙ্কে প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয়। জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করেছেন অনিতা। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ডিসিপি বিজয়ন্ত আর্য জানিয়েছেন, 'ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যু যে করোনার জেরেই হয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথি চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তাঁর কাছে এমন কোনও নথি ছিল না যাতে প্রমাণিত হয়, তাঁর স্বামী অসুস্থ ছিলেন।

এমনকী, আমরা ওই মহিলার কথাবার্তায়ও অনেক অসঙ্গতি পেয়েছিলাম। এরপর সোমবার আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ বিজিআরএম মর্গে পাঠাই। ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে হত্যার মামলা দায়ের দায়ের করা হয়েছে।'

এরপরই তদন্তের মুখে পড়ে প্রকৃত সত্য বলে ফেলেন ৩০ বছরের ওই মহিলা। তাঁর বয়ান অনুসারে, চলতি মাসের ১ তারিখ রাতে স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে সঞ্জয় নামে তাঁর প্রেমিককে বাড়িতে আসতে বলেন তিনি। তারপর দু'জনে মিলে কম্বল চাপা দিয়ে হত্যা করেন শরৎ দাসকে। পরের দিন সকালে প্রতিবেশীদের জানান, তাঁর স্বামীর মৃত্যু করোনা সংক্রমণের ফলেই হয়েছে। তবে অনিতা আরও জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে প্রতিদিনই ঝগড়া লেগে থাকত। তিনি জানতে পেরেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *