৪১১ কোটি টাকা হাতিয়ে পালাল আরও এক ঋণ খেলাপি, মামলা CBI

৪১১ কোটি টাকা হাতিয়ে পালাল আরও এক ঋণ খেলাপি, মামলা CBI

নয়াদিল্লি:  ভারতে ঋণখেলাপির তালিকায় জুড়ল আরও একটি সংস্থার নাম৷ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া সহ মোট ছ'টি ব্যাং ক থেকে নেওয়া ৪১১ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ না করেই দেশ থেকে পালালেন দিল্লির বাসমতি চাল রফতানিকারক সংস্থা রামদেব ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিকরা। তাঁদের হাতেনাতে ধরার আগেই দেশ ছাড়েন রামদেব ইন্টারন্যাশনালের তিন ডিরেক্টর ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সিবিআই৷

পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে চাল রফতানি করত রামদেব ইন্টারন্যাশনাল৷ সম্প্রতি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সংস্থার তিন ডিরেক্টর নরেশ কুমার, সুরেশ কুমার এবং সঙ্গীতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই৷ অভিযোগ, এসবিআই-থেকে ১৭৩.১১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল এই সংস্থা৷ কিন্তু সেই ঋণ তারা পরিশোধ করেনি৷  

এসবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই সংস্থার তিনটি চাল কারখানার পাশাপাশি কর্নাল জেলায় আটটি শর্টিং এবং গ্রেডিং ইউনিট রয়েছে৷ ব্যবসার জন্য সৌদি আরব এবং দুবাইতেও অফিস রয়েছে রামদেব ইন্টারন্যাশনালের৷  যদিও করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে এখনও পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত শুরু করতে পারেনি সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)৷ সূত্রের খবর, ওই তিন অভিযুক্ত তদন্তে সহযোগিতা না করলে, তাঁদের বিরুদ্ধে সমন পাঠানো হবে৷ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ সংস্থার তিন ডিরেক্টরের নামে জালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। 

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এই কোম্পানিকে নন-পারফর্মিং অ্যারসেট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে থেকেই গায়েব তিন ডিরেক্টর। চার বছর পর টনক নড়ে এসবিআইয়ের। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করা হয়। ২৮ এপ্রিল মামলা দায়ের করে সিবিআই৷  অভিযোগ, রামদেব ইন্টারন্যাশনাল ছ'টি ব্যাংক থেকে মোট ৪১৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। যার মধ্যে এসবিআইয়ের থেকে নেওয়া হয়েছে ১৭৩.‌১১ কোটি, কানাড়া ব্যাংক থেকে ৭৬.‌০৯ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে ৬৪.‌৩১ কোটি, সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে ৫১.‌৩১ কোটি, কর্পোরেশেন ব্যাংক থেকে ৩৬.‌৯১ কোটি এবং আইডিবিআই ব্যাংক থেকে ১২.‌২৭ কোটি ঋণ নিয়েছে সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *