নয়াদিল্লি: করোনা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের একের পর এক বাণী মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছেন করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। আবার কেউ বলছেন, করোনা আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে আশার কথা বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলো করোনা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। সেই গবেষণা থেকে মাঝে মাঝে ইতিবাচক ফল উঠে আসছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে মানুষ যখন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে, তখন হু ভারতের জন্য খারাপ খবর শোনাল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে এখনও সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। জুলাই মাসের শেষের দিকে সর্বাধিক সংক্রমণ ঘটতে পারে। যদিও এই বিষয়ে দুদিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল এইমস। এইমসের অধিকর্তা জানিয়েছিল, জুন-জুলাই মাসে করোনা সংক্রমণ সর্বাধিক হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হুর করোনা মোকবিলার দলের অন্যতম সদস্য ডেভিড ন্যাবারো জানিয়েছেন, ভারতে তুলনামূলকভাবে কম সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। কারণ, ভারত সঠিক সময়ে লকডাউন করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ভারত করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছয়নি। তবে পরিস্থিতি যেই দিকে যাচ্ছে, তা ভারতে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে জুলাইয়ের শেষের দিক হয়ে যাবে।
ন্যাবারো জানিয়েছেন, তবে এই ঘটনায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী মাসগুলোতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ঠিকই। তার সঙ্গে সংক্রমণের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি পাবে। তাই যে সব অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের থাবা এখনও পড়েনি, তাঁরা করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে গিয়েছিলেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তিনি জানিয়েছেন, দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে করোনার প্রাদুর্ভাব বেশি, সেখানে লকডাইন সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেছেন, মহারাস্ট্র, গুজরাত, দিল্লি ও তামিলনাড়ুর বেশিরভাগ শহরাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের হার বেশি।