নয়াদিল্লি: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা৷ হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে রোগীদের চাপ৷ আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও৷ এবার এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনা চিকিৎসায় নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ নতুন নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পরপর তিনদিন জ্বর না এলে বা চারদিন অক্সিজেন দিতে না হলে ছেড়ে দেওয়া যাবে মৃদু, মাজহারি উপসর্গ থাকা রোগীদের৷ করোনা রোগীদের ছাড়ার সময় প্রয়োজন হবে না নমুনা পরীক্ষা করা৷
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার৷ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা৷ করোনা আবহে পর্যাপ্ত পরীক্ষা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে করোনা হাসপাতাল থেকে রোগীদের ছাড়ার ক্ষেত্রে বিধি বদল করল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর৷ নতুন নির্দেশিকায় কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষা না করে রোগীদের ছেড়ে দেওয়া যাবে৷ যদিও এর আগে কেন্দ্রে নির্দেশিকায় বলা ছিল, করোনা পজেটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে ১৪ দিন পর একবার এবং তার ২৪ ঘণ্টার আগে নমুনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক৷ ওই দু’টি পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এলে ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে৷ কিন্তু সেই সমস্ত বিধি-নিষেধ শিথিল করে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্তদের উপসর্গ বিবেচনা করে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ মৃদু উপসর্গ বিশিষ্ট রোগী, মাঝারি মানের উপসর্গ থাকা রোগী ও মারাত্মক৷ নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মৃদু বা অতি মৃদু বা উপসর্গ থাকা রোগীদের করোনা হাসপাতলে নিয়মিত তাপমাত্রা ও হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করতে হবে৷ তাঁদের ১০ দিন পর ছেড়ে দেওয়া যাবে, যদি ৩ দিন পর পর জ্বর না আসে, তাহলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে৷ ছাড়ার সময় পরীক্ষা করার প্রয়োজন হবে না বলেও জানানো হয়৷ বাড়ি ফেরার পর ৭ দিন থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে৷ তিনি যদিও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার রোগীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকতে হত৷
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ছাড়া পাওয়ার রোগীদের কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট হলে করোনা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে৷ ফোন করা যাবে ১০৭৫ হেল্পলাইন নম্বরে৷ ১৪ তম দিনে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে ওই রোগীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে৷ কেন্দ্রে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাদের মাঝারি মানের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের করোনা হাসপাতলে ভর্তি হতে হবে৷ সেখানে আক্রান্তে আক্রান্তদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে৷ শরীরের তাপমাত্রা ও অক্সিজেন গ্রহণের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে৷ ১০ দিন পর ছেড়ে দেওয়া যাবে তাঁদের৷ তবে সে ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু শর্ত৷ যদি তিন দিনের মধ্যে জ্বর না আসে, চারদিন অক্সিজেন দিতে না হয় সে ক্ষেত্রে রোগীদের পরীক্ষা ছাড়া ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে৷ আর যাদের মারাত্মক সংক্রমণ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি সংক্রমণমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে থাকবেন৷ নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসলে তখন সেই রোগীদের ছাড়া ব্যবস্থা করা হতে পারে৷