নয়াদিল্লি: দেশের প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেনসিং-এর মাধ্যমে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার দুপুর ৩ টের সময় এই বৈঠক। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানর বিষয়টি উঠে আসতে পারে। এছাড়া লকডাউন সম্পর্কেও আলোচনা হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। ৪২১৩ জনের নতুন করে সংক্রমণ হয়েছে। দেশে মত করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৭১৫২ জন।
এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চমবার বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মূল আলোচ্য বিষয় হতে পারে লকডাউন। ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন রয়েছে দেশে। এই লকডাউন উঠে যাবে কিনা তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। দেশে ১২ মে থেকে ট্রেন চলাচলের কথা চলছে। সর আগেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, একইভাবে দেশে সংক্রমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। সেক্ষেত্রে লকডাউন উঠে যেতে হয়ে তা কিভাবে সম্ভব হবে, সেগুলি আলোচ্য সূচিতে থাকছে।
সংক্রমন বাড়ছে কলকাতাতেও। এখন কলকাতায় মত ৩৩৮টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। রবিবার সন্ধের পর আরও ১২টি কন্টেনমেন্ট জোন বাড়ল কলকাতা পুর এলাকার ৭ নম্বর বরোয় ৪টি সংক্রমিত এলাকা বেড়েছে, ২টি করে সংক্রমিত এলাকা বেড়েছে ৯ এবং ১০ নম্বর বরোয়। এদিকে, রাজ্যের এই সংকটের সময় মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব পর্দার আড়ালে চলে গিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রাহুলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং মুখ্যসচিবের (রাজীব সিনহা) কোনও বক্তব্য নেই। তাঁদের দেখা কেউ পাচ্ছে না।
ঘটনাচক্রে কয়েকদিন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে সাংবাদিক বৈঠকে দেখা যাচ্ছে না। নবান্ন থেকে ওই বৈঠকে আসছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুলের কটাক্ষ, “কেউ কেউ তো বলছে, সংবাদপত্র, টিভিতে বিজ্ঞাপন দাও, নিখোঁজের বিজ্ঞাপন। মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব নিখোঁজ হয়ে গেলেন কোথায়?” রাহুল বলেছেন, “এই পরিস্থিতির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, মুখ্যসচিবের উচিত হাল সজোরে ধরা। সরকারের পক্ষে পরিষ্কার বিবৃতি দিয়ে জানান হোক, মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের এই অকস্মাৎ অদৃশ্য হওয়ার পিছনে কারণ কী আছে। এটা রাজবাসী জানতে চায়, সবাই জানতে চায়।”