বয়েজ লকার রুম: ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে গণধর্ষণের পরিকল্পনা, আদতে কিশোরী

বয়েজ লকার রুম: ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে গণধর্ষণের পরিকল্পনা, আদতে কিশোরী

নয়াদিল্লি: ‘বয়েজ লকার রুম’ নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ৷ এই ঘটনা এবার নয়া মোড় নিল৷ জানা গেল, কোনও ছাত্র নয়, ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কিশোর পরিচয়ে সহপাঠিনীদের গণধর্ষণের পরিকল্পনা বা অশ্লীল কথাবার্তা বলেছিল আদতে এক কিশোরী৷ বস্তুত নিজেকেই গণধর্ষণের প্রস্তাব দিয়ে এক কিশোরের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছিল সে। 

প্রাথমিক তদন্তের পর দিল্লি পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখা জানিয়েছে, ওই চ্যাটটি ‘বয়েজ লকার রুম’-এর অংশ নয়। স্ন্যাপচ্যাট-এ ‘সিদ্ধার্থ’ নামে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে অশ্লীল কথাবার্তা শুরু করেছিল ওই কিশোরী৷ কিন্তু তাদের এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট ‘বয়েজ লকার রুম’ গ্রুপে শেয়ার করে দেয় ওই কিশোর। যা ওই গ্রুপের অন্য এক সদস্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরেই দেশ জুড়ে সামালোচনার ঝড় ওঠে৷ 

তবে এই ঘটনায় ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেনি পুলিশ৷ দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অন্বেষ রায় বলেন, “তাদের কথোপকথনের একাধিক স্ক্রিন শট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা অপরাধমূলক হলেও, মেয়েটি অসৎ উদ্দেশ্যে এই কাজ করেনি৷ ওই কিশোরের মানসিকতা যাচাই করতেই এই কাজ করেছিল মেয়েটি৷ সে কারণেই কোনও মামলা দায়ের করা হচ্ছে না।” 

তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছে, কিশোর পরিচয় দিয়ে ওই কিশোরী আদতে নিজেকে গণধর্ষণের কথাই বলেছিল। এ বিষয়ে ওই কিশোরের প্রতিক্রিয়া জানার জন্যই এমনটা করেছিল সে৷ তবে এই আলোচনায় বিরক্ত হয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেয় ওই কিশোর৷ ‘সিদ্ধার্থে’র গণধর্ষণের পরিকল্পনায় অংশ নিতেও রাজি হয়নি সে৷ কিন্তু তাদের কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসার পরই নয়ডায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে ‘বয়েজ লকার রুম’ শুরু করেছিল ওই ছাত্রটি৷ যেখানে মেয়েদের অশ্লীল ছবি ও তাদের গণধর্ষণের পরিকল্পনা করা হয়৷ এই গ্রুপের ২৭ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ তবে দু’জনের নাগাল পাওয়া যায়নি৷ আরও একজনের বিষয়ে খোঁজখবর চলছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *