নয়াদিল্লি: স্কুলগুলিতে অনলাইন ক্লাস চালু করার বিষয়ে শীঘ্রই নির্দেশিকা আনতে চলেছে কেন্দ্র৷ বেশ কিছু দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছিল৷ আগামী সপ্তাহের মধ্যেই স্কুলগুলির হাতে পৌঁছে যাবে এই নির্দেশিকা৷
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিভাবকরা অনলাইনের দীর্ঘ সময় ক্লাস এবং স্ক্রিন সময় নিয়ে সিবিএসই এবং কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছ ইমেল মারফত নানা অভিযোগ জানানোর পরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র৷ অভিযোগ জানানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মেও৷ এর পরই অনলাইন পড়াশোনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করার চিন্তাভাবনা নেয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরই শুরু হবে ক্লাসরুম টিচিং৷ অদূর ভবিষ্যতে তাই অনলাইন ক্লাসের উপরেই জোড় দিচ্ছে কেন্দ্র৷ পড়ুয়া এবং স্কুলগুলির সমস্যা সামাধানে তাই ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (নিসিইআরটি)-কে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে বলে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিবিএসই এবং এনসিইআরটি’র কাছে একাধিক অভিযোগ আসার পর স্কুলগুলিকে সুনির্দিষ্ট গাউডলাইন দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়৷
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা জানান, অনলাইনে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ানো হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের৷ দীর্ঘ স্ক্রিন টাইম এবং অ্যাসাইনমেন্টে পড়ুয়াদের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে৷ এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও৷
এনসিইআরটি-র ডিরেক্টর জানান, কাউন্সিলের একাধিক গ্রুপ খসড়া নির্দেশিকা তৈরির কাজ করছে৷ খুব শীঘ্রই গাইডলাইন তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ সম্ভবত আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে৷ স্ক্রিন সাইজের প্রমাণ মাপ, খাতায় কলমে কাজ, ছোটদের স্ক্রিন মনিটরিংয়ের সময় প্রভৃতি বিষয়ে সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকবে নয়া নির্দেশিকায়৷ তবে কোনও পরিস্থিতিতেই শিক্ষার সঙ্গে সমঝোতা করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছে এনসিইআরটি৷