সংকটে মানুষ ঘরে ফিরতে চাইছে, কিন্তু সংক্রমণ ঠেকানো বড় চ্যালেঞ্জ: মোদি

সংকটে মানুষ ঘরে ফিরতে চাইছে, কিন্তু সংক্রমণ ঠেকানো বড় চ্যালেঞ্জ: মোদি

নয়াদিল্লি:  করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই নিয়ে পঞ্চমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কী ভাবে লকডাউন প্রত্যাহার করা হবে এবং করোনা সংক্রণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতেই ছিল এদিনের বৈঠক৷

এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুললেও,  ‘টিম ইন্ডিয়া’ হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মতামত জানান অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও৷ কেন্দ্রের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী  হর্ষ বর্ধন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বেশ কিছু সদস্য৷  

এদিন আলোচনায় উঠে আসে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ৷ জি নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন নমো বলেন, ‘‘সরকার চেয়েছিল যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। কিন্তু ঘরে ফিরতে চাওয়াটাই মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি৷  তাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে। তবে দেখতে হবে সংক্রমণ যাতে কোনও ভাবেই গ্রামগুলিতে পৌঁছতে না পারে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি রাজ্য নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন৷ করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।  সব রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ক্যাবিনেট সচিব। আমাদের আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে। ভারসাম্য বজায় রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। নির্দিষ্ট পথে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে৷ করোনার বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে৷ সকলের পরামর্শ মেনেই গাইডলাইন তৈরি করা হবে।’’ 

তবে আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হবে, নাকি আরও বাড়ানো হবে লকডাউনের মেয়াদ তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ কনটেনমেন্ট জোনগুলিকে বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে কিনা, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *