তিরুবনন্তপুরম: কেরল মডেল ইতিমধ্যে বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসা পেয়েছে। শুরুর দিনেই লকডাইন জোরদার করে ও প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষা করে করোনা সংক্রমণ যে রোধ করা সম্ভব, তা করে দেখিয়েছে কেরল। সারা ভারতে যখন লাফিয়ে লাফি্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তখন কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।প্রথম কেরলে যখন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যায়, তখন রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল এক। ১০০ দিন পরে কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তবে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সব থেকে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যটি।
দেশে করোনায় সুস্থ হওয়ার হার সব থেকে বেশি কেরলে। কেরলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫০৩ জন। এরমধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৭ শতাংশ। হাসপাতালে মোট ১৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছেন। কেরলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুরুর দিন থেকেই কেরলে টেস্টের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি লকডাউন জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই কেরল আজকে এই পরিস্থিতি আসতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেরলে শুরুর দিকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ছিল। সারা ভারতে সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল তখন কেরল থেকে। কিন্তু শুরুরদিকেই বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করে, আক্রান্ত ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে কেরল আজকে এই পরিস্থিতিতে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন জানিয়েছেন, রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ার ১০০ দিনের মাথায় এক জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই রোগী কার কার সংস্পর্শে এসেছে, তার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সকলকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। নতুন করে যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি কেরলের এর্নাকুলামের বাসিন্দা। তিনি সম্প্রতি চেন্নাই থেকে করলে এসেছেন বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেরল থেকে করোনা নির্মূল করতে সব ধরনের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।