নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনা-আক্রান্তর সংখ্যা যেভাবে ক্রমশই বেড়ে চলেছে, বাড়ছে মৃত্যু, তাতে চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্রের। ফলে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যৌথভাবে নতুন একটি গাইডলাইন প্রকাশ করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড রিসার্চ (এনসিডিআইআর)।
এক্ষেত্রে করোনা রোগীদের সার্টিফিকেট লেখার বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেখানো পথকে অনুসরণ করা হল। যদিও ধোঁয়াশা কাটাতে বিষয়গুলি পৃথকভাবে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত রোগীদের অন্যান্য রোগ থাকলেও নমুনায় কোভিড পজিটিভ থাকলে ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে 'করোনা' উল্লেখ করতে হবে। যেমন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের কেউ নিউমোনিয়া, হৃদযন্ত্রের সমস্যা অথবা রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যায় মৃত্যু হলে সেখানে মৃত্যুর কারণ(কজ অব ডেথ) হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেটে 'কোভিড-১৯' লিখতে হবে। মৃত্যুর কারণ আদ্যক্ষরে লেখা যাবে না।’
তবে নতুন গাইডলাইনে এই বিষয়টিও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার উপসর্গ থাকলেও, টেস্ট রিপোর্ট হাতে আসার আগেই যদি সেই রোগীর মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ সরাসরি 'করোনা' লেখা যাবেনা বরং লিখতে হবে ‘সম্ভাব্য কোভিড-১৯।’ পাশাপাশি টেস্টের আগেই কেউ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে বের সার্টিফিকেটে 'সাসপেক্টেড কোভিড-১৯' বা ‘সন্দেহজনক করোনায় মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করতে হবে।
শুরুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এই একইভাবে রোগীদের মৃত্যুর কারণ সরাসরি করোনা লিখতে চায়নি। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মূলত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, হার্টের সমস্যা বা ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের করোনায় মৃত্যু হলে ঠিক কিভাবে বের সার্টিফিকেট লিখতে হবে তার নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে অন্য কোনও রোগ থাকলে উল্লেখ করতে হবে৷ মৃত্যুর জন্য অন্য কোনও রোগ দায়ী থাকলে তাও উল্লেখ করতে হবে। শেষে লিখতে হবে রোগী মৃত্যুর আসল কারণ। সংক্রমণের শুরু থেকে মৃত্যুর সময়ের মধ্যে ব্যবধানের বিষয়টিও উল্লেখ করতে হবে।
এদিন গাইডলাইন প্রকাশ করার পাশাপাশি এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও আলোচনা হয়। যেখানে আগামী দিনে করোনা নিয়ে গবেষণার কাজে ডেথ সার্টিফিকেটের ফলাফল একটা বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।