অব্যাহত শ্রমিক মৃত্যু মিছিল! ২ রাজ্যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত ১৪ পরিযায়ী

অব্যাহত শ্রমিক মৃত্যু মিছিল! ২ রাজ্যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত ১৪ পরিযায়ী

1837137469235b26023a148aa078bc5b

গুণা ও মুজফফরপুর: ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার পরিযায়ী শ্রমিকরা৷ দুই রাজ্যের দুই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের৷ জখম প্রায় ৫৫৷ 

হাজার হাজার মাইল পথ পেরিয়ে পায়ে হেঁটে পঞ্জাব থেকে বিহারে ফিরছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকের একটি দল৷ বুধবার রাতে মুজফফরপুর-সহারানপুর সীমানার কাছে জাতীয় সড়কে ঘটেছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা৷ উত্তরপ্রদেশের সরকারি পরিবহণ সংস্থার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিষে দিয়ে যায় ৬ জনকে৷ জখম হন আরও ৪ জন৷ জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বাসটি ফাঁকাই ছিল৷ এই ঘটনার পরই ওই সরকারি বাসের চালক পলাতক। শ্রমিকদের নিথর দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মেরঠের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে বাকি আহত শ্রমিকদের৷  

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র থেকে লরিতে চেপে ১২,০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল ৭০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের একটি দল৷ উত্তর প্রদেশে নিজেদের গ্রামে ফিরছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁদের সেই সফরের করুণ পরিনতি ঘটল৷ মধ্যপ্রদেশের গুণার ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় লরিটির৷ যার জেরে মৃত্যু হয় ওই আট জন শ্রমিকের। এই ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  ভোর ৩টে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্রের খবর। বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিকই উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই সারা দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হাঁটে ঘরে ফেরার করুণ ছবি দেখেছে দেশ৷ ঘটেছে একের পর এক দুর্ঘটনা৷ প্রাণ হারিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। গত সপ্তাহে বাড়ি ফেরার পথে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় রেললাইনের উপর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের একটি দল। ঘুমন্ত অবস্থায় মালগাড়ির চাকায় পিষ্ট হয় প্রাণ হারান ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এর পরেও বেশ কিছু পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে।  মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিকের৷ যে ঘরে ফেরার স্বপ্ন নিয়ে পথ হাঁটা শুরু করেছিলেন তাঁরা, পথেই শেষ হয়েছে সেই স্বপ্নের৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *