আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য কতটা সুরক্ষিত?

করোনা সংক্রমণ চিহ্নিতকরণের জন্য ভারত সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কেউ কেউ এই অ্যাপটিতে দেশবাসীর দেওয়া গোপন তথ্য কতটা সুরক্ষিত, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। ইতিমধ্যে সরকারের তরফে আরোগ্য সেতু অ্যাপটির প্রোটোকল সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। সেখানে ব্যবহারকাঈর তথ্য সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দেওয়া হলেও প্রশ্ন উঠছে অ্যাপটি নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ পরামর্শও দিয়েছেন এই বিষয়ে।

aebeebe8633d771fa6603b5da67a7c79

নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ চিহ্নিতকরণের জন্য ভারত সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কেউ কেউ এই অ্যাপটিতে দেশবাসীর দেওয়া গোপন তথ্য কতটা সুরক্ষিত, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। ইতিমধ্যে সরকারের তরফে আরোগ্য সেতু অ্যাপটির প্রোটোকল সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। সেখানে ব্যবহারকাঈর তথ্য সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দেওয়া হলেও প্রশ্ন উঠছে অ্যাপটি নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ পরামর্শও দিয়েছেন এই বিষয়ে।

সোমবার আরোগ্য সেতু ডেটা অ্যাক্সেস অ্যান্ড নলেজ শেয়ারিং প্রোটোকল, ২০২০ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, এই অ্যাপটি করোনার প্রকোপ চিহ্নিতকরণের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপটিতে তথ্য মজুত থাকবে ১৮০ দিন। সংক্রামিত ও অসংক্রামিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তথ্য মজুতের মেয়াদে তারতম্য থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনআইসির মাধ্যমে সংগৃহীত জনতাত্ত্বিক তথ্য নিয়মের ভিত্তিতে যতক্ষণ না ব্যবহারকারী মুছে ফেলার অনুরোধ জানাচ্ছে সরকারকে, ততক্ষণ অ্যাপেই থাকবে সমস্ত তথ্য। সূত্রের দাবি, এই অ্যাপে চার ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেগুলি হল জনবিন্যাসের তথ্য, সংস্পর্শের তথ্য, অ্যাসেসমেন্ট তথ্য ও লোকেশনের তথ্য। তবে এই সমস্ত তথ্য প্রাথমিকভাবে দেখতে পাবেন ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার (এনআইসি) ছাড়াও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক বিভাগ।

সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন না তুললেও, প্রশ্ন উঠেছে অন্য একটি বিষয় নিয়ে। সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগগুলি ছাড়াও আরোগ্য সেতু অ্যাপের তথ্য দেখার সুযোগ পেতে পারেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা সংস্থা। বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুমতির ভিত্তিতে তারা এই সুযোগ পেতে পারে। আর এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি না করলে দেশবাসীর গোপন তথ্য অপব্যবহারের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে সাফ বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে বিশেষজ্ঞ কমিটির থেকে অনুমতি পেলেও তৃতীয় পক্ষ কখনওই কোনও ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে পারবে না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আইডি সরবরাহ করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা সংস্থাকে। এদিকে মাই গভর্নমেন্টের সিইও অভিষেক সিং আশ্বস্ত করেছেন যে, অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *