রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, পরিযায়ী রাজনীতি রুখতে  নয়া নিয়ম শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে

রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, পরিযায়ী রাজনীতি রুখতে  নয়া নিয়ম শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে

নয়াদিল্লি: পরিযায়ী স্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে রাজনীতি রুখতে অভিনব উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার রেলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, এখন থেকে পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ট্রেন রাজ্যে প্রবেশ করতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়া হবে না।কেন্দ্রের অভিযোগ ছিল, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে যে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই ট্রেন রাজ্যে ঢোকানোর অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। এক্ষেত্রে মূলত অভিযোগের আঙুল ছিল পশ্চিমবঙ্গের দিকে। যদিও কেন্দ্রকে পাল্টা দিয়ে বিরোধীদের দাবি ছিল শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এই দ্বন্দের মাঝেই এবার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল।

লকডাউন এর জেরে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি বারবার উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। এই ঘটনার জেরেশ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ট্রেনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছিল বিরোধিরা। সরকার ব্যবস্থা নিল ভাড়া নিয়ে শুরু হয়েছিল সমস্যা। ট্রেনে চড়তে না পেরে বহু শ্রমিক পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। যার জেরে পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় তাদের। এসব কিছুর মাঝেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনকে ঘিরে শুরু হয়েছিল আরও এক বড় সমস্যা। একাধিক রাজ্য সরকার নিজে রাজ্যের ট্রেন ঢুকাতে রাজি হচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রেলের মুখপাত্র রাজেশ বাজপেয়ী জানিয়ে দিলেন, ‘এখন থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাতে আর অনুমতি নেওয়া হবেনা রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই শ্রমিকদের ঘরে ফেরা ট্রেন।’

প্রসঙ্গত, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বন্দ্ব সম্প্রতি প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা কেন্দ্র বিষয়টিকে নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র অবশ্য স্পষ্ট জানায় শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে যে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা রাজ্যে ঢুকতে দিচ্ছে না বঙ্গ সরকার। এমন টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে অনুরোধ করেন শ্রমিক বোঝাই ট্রেন নিজে ঢোকার অনুমতি দিতে। এই দোলাচলের মাঝেই এবার রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, শ্রমিকদের ফেরাতে যে ট্রেন চালানো হচ্ছে তা রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের থেকে কোনও রকম অনুমতি নেবে না রেল কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *