লাদাখ: করোনা আবহে এবার লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘাত৷ চিন সীমান্তে কৌশলগত অবস্থান নিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান৷ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শুরু হয়েছে বৈঠক৷
করোনা আবহের মধ্যে সেনার কৌশলগত প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ গতকাল এই বিষয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সিডিএস৷ ভারত-চিন সংঘাতের আবহে প্রধানমন্ত্রীর পর এবার সেনা প্রধানের বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক চর্চা৷ বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পর সেনা প্রধানের বৈঠক ঘিরে চিন সীমান্তে উত্তেজনা আর তীব্র হয়েছে৷
করোনা পরিস্থিতির মাঝে ইতিমধ্যেই সামরিকভাবে ভারতকে চাপে রাখতে লাদাখ সীমান্তে সেনা মজুত করতে শুরু করেছে চিন৷ জানা গিয়েছে, চিন লাদাখ সীমান্তে প্রায় পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে৷ যুদ্ধ বিমান নামোর জন্যও ঘাঁটি প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে লাদাখে সেনা বাড়তে শুরু করেছে ভারত৷লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি)-র চার জায়গায় একেবারে সামনা সামনি ভারত-চিন সেনা৷ বার বার বৈঠক করেও কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি৷ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ানক হয়ে উঠেছে৷ ডোমকলে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, লাদাখ সীমান্তে তা কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
সামরিক সূত্রে জানা গিয়েছে, লাদাখ সীমান্তে চিন প্রায় পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। তবে সেই সেনারা একজায়গায় জড়ো হয়ে নেই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সেনারা। সামরিক বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সীমান্তে সেনা জড়ো করতে চিনকে বেশি কসরত করতে হয়নি। এক জায়গায় প্রশিক্ষণ চলছিল। সেখান থেকেই সেনাদের লাদাখ সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক আধিকারিক জানিয়েছেন, চিনের রণনীতির ওপর ভারত নজর রেখেছে। চিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতও সেনা মজুত করছে সীমান্তে৷