নয়াদিল্লি: চাকরিজীবীদের কাছে অবসরের আগে সঞ্চয়ের অন্যতম পথ হল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)৷ এটি একটি সরকার সমর্থিত প্রকল্প৷ এতে গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন পাওয়াও যায়৷ অবসরের পর বেশিরভাগ মানুষই আর্থিক চাহিদা মেটাতে ইপিএফের উপর ভরসা করে থাকেন৷ আপনি যদি একমাত্র ইপিএফের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন, তাহলে চলতি অর্থবর্ষে আপনাকে কিছুটা হলেও নিরাশ হতে হবে৷
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ইপিএফ-এর টাকা আগাম তোলা যাবে বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র৷ সরকারি কর্মচারীদের কম ইপিএফ কাটা হবে বলেও জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু এর মন্দ দিকটিও কিন্তু রয়েছে৷ এর ফলে চলতি বছর ইপিএফ রিটার্নের পরিমাণও অনেকটাই কমেবে৷ উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ইপিএফ-এ ৮.৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল ইমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)৷
এতদিন সংস্থার তরফে ১২ শতাংশ এবং কর্মচারীদের তরফে ১২ শতাংশ ইপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা হতো। কেন্দ্রের নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, বেসরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে আগামী ৩ মাস ইপিএফ বাবদ মূল বেতনের ১০ শতাংশ কাটা হবে, এবং সংস্থাগুলিও কর্মী প্রতি ১০ শতাংশ করেই ইপিএফ জমা করবে৷ এতে হাতে বেতনের বাড়তি টাকা এলেও, কম সঞ্চয়ের ফলে মিলবে কম রিটার্ন৷
দেশজুড়ে চলা দীর্ঘ লকডাউনে ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি৷ বন্ধ উপার্জন৷ এই পরিস্থিতিতে ইপিএফ জমার ক্ষেত্রেও কর্মীরা পেয়েছেন সময়ের ছাড়৷ তবে কর্মীদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত, ইপিএফ-এর টাকা জমা দিতে দেরি হলে, তার প্রভাব পড়বে মাসিক সঞ্চয়ের উপর৷ এর ফলে ইপিএফ-এর সুদের হারও কমবে৷ অন্যদিকে, নিয়মিতভাবে রেপো রেট হ্রাস করছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া৷ চলতি অর্থবর্ষে আগামী দিনে ইপিএফ-এ ৮.৫ শতাংশ সুদ মিলবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ কারণ, ইতিমধ্যেই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমানো হয়েছে৷