নয়াদিল্লি: লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ দুই দেশই শক্তি বাড়াচ্ছে সীমান্তে৷ এই অবস্থায় শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিতীয় দফার এক বছর পূর্তিতে রিপাবলিট টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বললেন, কূটনৈতিক পথেই ভারত-চিন সীমান্তের সমস্যার মোকাবিলা করা হবে৷
লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি)-এর বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘আমাদের সরকার কোনও ভাবেই দেশের মাথা নত হতে দেবে না৷ অতীতেও সংঘাত ঘটেছে৷ আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি৷ কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছে৷’’ এই ইস্যুতে মধ্যস্থতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন রাজনাথ৷
এদিকে একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর৷ এর পরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় কানাঘুষো৷ ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যুতে তিনি মধ্যস্থতা করতে চলেছেন বলে গুজব ছড়ায়৷ কিন্তু এর ঠিক পরের দিনই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, বর্ডার ইস্যুতে কোনও মধ্যস্থতার সম্ভাবনা নেই৷ চিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে ভারত৷ তবে এর আগে সরকারের তরফেও ধোঁয়াশা কাটিয়ে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুধুমাত্র হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের৷ অন্য কোনও বিষয়ে নয়৷
নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে৷ নেপালের ‘নতুন মানচিত্রে’ তিনটি বিতর্কিত অঞ্চল- লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানিকে তাদের ভূখণ্ডে দেখানো হয়েছিল। সর্বোপরী এই তিনটি এলাকা নেপালেরই অংশ বলে দাবি করেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এই প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং জানান, নেপালের প্রতি ভারত সর্বদাই ‘ভ্রাতৃত্ববোধ’ দেখিয়েছে৷ এই বিষয়ে ওলির সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত ভারত৷
অন্যদিকে, সীমান্ত দিয়ে বারবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে পাক জঙ্গিরা৷ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে আমরা সফলভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি৷ এর জন্য আমাদের এজেন্সি এবং সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি৷ সবাই জানে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য কী৷’’ পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যার সমাধান কবে হবে, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজনাথ অবশ্য বলেন, ‘‘এর জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া সম্ভব নয়৷’’ এদিন কংগ্রেস নেতাদের একহাত নেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷ তিনি বলেন, চিন সীমান্ত এবং করোনা প্যান্ডেমিক নিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ জাতীয় ইস্যু নিয়ে কোনও দোষ-পাল্টা দোষের খেলা চলা উচিত নয়৷